প্রতীক্ষার আর প্রায় আড়াই মাস। কলকাতার পুজো কমিটিগুলোকে আয়কর নোটিস পাঠানো ঘিরে দুর্গাপুজোর আগে ফের গর্জে উঠলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ইস্যুতে আরও একবার বিজেপিকে দুষে মমতা বলেছেন, পুজো কমিটির থেকে কর চেয়ে আসলে দুর্গাপুজোর অপমান করছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্বাচনের সময় হিন্দু ধর্ম, আর নির্বাচনের পর হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় কর আদায় করা, এটা ঠিক হচ্ছে না। ধিক্কার জানাচ্ছি’’। দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আয়কর তলব ঘিরে মমতার পাল্টা সরব হয়েছে বিজেপিও।
আরও পড়ুন: ‘মমতার দলটাই উঠে যাবে’
ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পুজোটা কমার্শিয়াল নয়, এটা সামাজিক অনুষ্ঠান। সুতরাং আমি মনে করি, সরকার এঁদের উপর আয়কর চাপাতে পারে না। কোটি কোটি মানুষের কাজ হয়। কর্মসংস্থান বাড়ে। নির্বাচনের সময় হিন্দু ধর্ম, আর নির্বাচন হয়ে গেলে হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোয় কর আদায় করা, এটা ঠিক হচ্ছে না। ধিক্কার জানাচ্ছি। সব ধর্মের মানুষ দুর্গাপুজোয় অংশ নেন। কর আদায় করা উচিত নয়। এটা দুর্গাপুজোর অপমান’’। এ প্রসঙ্গে মমতা আরও বলেন, ‘‘স্পনশরশিপের মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে অধিকাংশ দুর্গাপুজো হয়। যাঁরা দুর্গাপুজো কমিটি গুলোকে চাঁদা দেন, তাঁরা আয়কর দেন। যেসব সংস্থা স্পনশর করে, তারা জিএসটি দেয়’’। এ ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা আরও বলেন, ‘‘কেউ ইভিএম দখল নিতে পারে, কিন্তু মানুষের হৃদয় কেড়ে নিতে পারবে না। মানুষের মন কীভাবে জয় করা যায়, সেটা প্রথমে শেখা উচিত বিজেপির’’।
আরও পড়ুন: উনিশের একুশ আলাদা হয়েই রইল, নেত্রীর বার্তায় নেই সেই ঝাঁঝ
অন্যদিকে, মমতার মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘পুজো কমিটির হিসেবনিকেশ দেখলে বোঝা যাবে, ওরা যে কয়েকটা পুজো কমিটিকে মাধ্যম করে টাকা নয়ছয় করছে, সেসব ধরা পড়ে যাবে। সে কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাত্রদাহ। কোনও পুজোকমিটির গাত্রদাহ নেই। সারদার টাকা যেভাবে বিভিন্ন পুজো কমিটির মাধ্যমে ব্ল্যাকমানি হোয়াইট হয়ে বেরিয়েছে, তার তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা’’।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে কলকাতার ২০টি দুর্গাপুজোকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। যা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। সম্প্রতি আরও কয়েকটি দুর্গাপুজো কমিটিকে নোটিস পাঠিয়েছে আয়কর বিভাগ।
Read the full story in English