এসএসসি নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে চরম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। এসএসসি দফতর পাহাড়া দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে, মেয়ের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই তলব পেয়েও যাননি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। তিনি কোথায় কেউ তা খোলসা করেননি। এসব নিয়ে রাজ্যকে নিশানা করছে বিরোধী দলগুলো। হইচই তুঙ্গে। এসবের মধ্যেই নিয়োগ নিয়ে সিপিএমকে কড়া আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ দিন ঝাড়গ্রামে কর্মীসভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন, 'আগে তো একটা চিরকুট দিয়ে চাকরি দিত, একটা চিরকুট দিয়ে ট্রান্সফার করে দিত। চৌত্রিশ বছর ধরে কী করেছে সিপিএম? আমিও সব খোঁজ নিচ্ছি। আস্তে আস্তে চ্যাপ্টার ওপেন করছি। আগে ভদ্রতা করেছি, তা যদি কেউ দুর্বলতা মনে করেন, তা হলে ভুল করবেন।' তবে, এ দিন একবারও এসএসসি-র নাম মুখে নেননি তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী নিশানা থেকে ছাড় পায়নি বিজেপিও। বলেন, 'বিজেপি ভেবেছে কী! কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চালিয়ে যাবে। এ দেশে এখন কারও বাঁচার অধিকার নেই, কারও স্বাধীনতা নেই, সব নষ্ট করে দিয়েছে। দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটা একটা করে ধ্বংস করে দিচ্ছে! ওরা ভাবছে গায়ের জোরে তৃণমূলকে স্তব্ধ করে দেবে। কিন্তু তৃণমূল জব্দ করে, তৃণমূলকে স্তব্ধ করা যায় না।'
মমতার এ দিনের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'গত ১১ বছরে তো অনেক কমিশন বসিয়েছেন। অনেক হুমকি দিয়েছেন। তবুও একজন বাম মন্ত্রী, নেতাকেও জেলে পুরে রাখতে পারেননি। তাই বলব প্রলাপ না বকে কাজের কাজ করুণ উনি। আসলে দুর্নীতিতে জড়িত মন্ত্রীদের ডাক পড়তেই ওনার মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।' সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, 'উনি মিথ্যাবাদী। মাথা গরম হলে উনি এই ধরণের উল্টোপাল্টা বকেন। ২০১১ সালের ভোটের আগে চিরকুট হাতে বলেছিলেন চিটফান্ডের সব প্রমাণ ওঁর হাতে রয়েছে। কিছুই প্রমাণ করতে পারেননি। আমি চ্যালেঞ্জ করছি ওনাকে। উনি প্রমাণ করুন।'
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলন করছে বাম ছাত্র-যুবরা। মনোবল বাড়ছে তাদের। এই অবস্থায় পাল্টা সিপিএমকে নিশানা করে তাদের রাজনৈতিক মাইলেজ কারতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো।