তিনদিনের সফরে আজ উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারের সফরে উত্তরবঙ্গে জুড়ে একাধিক রাজনৈতিক জনসভা রয়েছে তাঁর। সূত্রে খবরএই সফরেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। ফলে মমতার এবারের উত্তরবঙ্গ সফর রাজনৈতিক দিক থেকে তাৎপর্যবাহী।
গত লোকসভায় উত্তরবঙ্গের সাত জেলায় খাতা খুলতে ব্যর্থ তৃণমূল। সবকটিতেই জয় পেয়েছে বিজেপি। ওই সব জেলায় গত দেড় বছরের প্রভাব বাড়িয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যেই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তৃণমূল ছেড় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন কোচবিহারের বিধায়ক মিহির গোস্বামী। পিকে-র ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাষ করে বেসুর উত্তরের একাধিক বিধায়ক। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে ও বুধবার কোচবিহারে সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখান থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিতে পারেন তিনি।
আরও পড়ুন- ‘মমতাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি’, বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে তিনটি রাজনৈতিক সভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমটি তিনি করেন বাঁকুড়ায়, তার পর মেদিনীপুরে ও শেষ সভাটি করেছেন বনগাঁয়। তিনটি সভা থেকে কৃষি আইনের বিরোধীতার পাশাপাশি বিজেপি–কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনার কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গে সিএএ লাগুর বিরোধীতার কথাও। উত্তবঙ্গের সভাগুলোতেও বিজেপি বিরোধীতায় সুর চড়াবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিমল গুরুং ফেররা পর থেকেই উত্তপ ছড়াচ্ছে পাহাড়ের রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে সভা করেছেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা। সেখান থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে আগামী বিধানসভায় তৃণমূলকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছেন গুরুং। কটাক্ষ করেছেন গুরুং বিরোধী মোর্চা গোষ্ঠীর প্রধান বিনয় তামাংয়ের। অন্যদিকে, কালিংম্পং, মিরিখে বিনয় তামাংয়ের নেতৃত্বে হয়েছে সভা, মিছিল। এই পরিস্থিতিতে মোর্চার পরস্পর বিরোধী দুই গোষ্ঠী মধ্যে রফাসূত্র বার করে পাহাড়ে রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায়ে উদ্যোগী শাসক শিবির। সূত্রে খবর, সেই কারণেই এবারের সফরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন