Advertisment

তৃণমূল নেতারা দলের সম্পদ নয়, কর্মীরাই সব: মমতা

‘‘কেউ যদি মনে করেন, তৃণমূল কেন তৈরি হয়েছিল জানা নেই, তাহলে বলব, অনেক বই আছে, পড়ে নেবেন। আমাদের সংগ্রামের কাহিনী বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে’’।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
toha siddiqui furfura sharif, ত্বহা সিদ্দিকি, তহা সিদ্দিকি, ত্বহা সিদ্দিকির ইন্টারভিউ, ত্বহা সিদ্দিকির সাক্ষাৎকার, তহা সিদ্দিকির সাক্ষাত্কার, toha siddiqui, toha siddiqui news, toha siddiqui interview, toha siddiqui latest news, mamata banerjee, pm modi, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মমতা, মমতা ব্যানার্জী, মমতা ব্যানার্জি, মমতার খবর, মমতা সম্পর্কে ত্বহা সিদ্দিকি, ফুরফুরা শরিফের প্রধান ত্বহা সিদ্দিকি, taha siddiqui mamata, modi, tmc bjp, nrc, caa, mamata banerjee, তৃণমূল বিজেপি আঁতাত, তৃণমূল বিজেপি গট আপ, Taha Siddiqui , mamata banerjee latest news, pm modi news, mamata modi, মমতা মোদী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অলঙ্করণ: অভিজিৎ বিশ্বাস।

‘তৃণমূল মানে কী? কেন তৈরি হয়েছিল তৃণমূল?’ বাংলায় বিজেপির ‘বাড়বাড়ন্তে’ দলের ভিত মজবুত করার দাওয়াই দিতে গিয়ে জনতার দরবারে এবার তৃণমূলের গোড়ার কথা স্মরণ করিয়ে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার কৃষ্ণনগরের সভায় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূলনেত্রীর বার্তা, ‘‘নেতারা নয়, আমার বুথ কর্মীরাই দলের সম্পদ। তৃণমূল মানে গ্রাসরুট পর্যায়’’। উল্লেখ্য, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধাক্কা খাওয়ার পরই তৃণমূলস্তরে নেমে জনসংযোগে মন দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে শুরু হয়েছে ‘দিদিকে বলো’-সহ একাধিক জনসংযোগমূলক কর্মসূচি।

Advertisment

এদিন মমতা আরও বলেন, ‘‘তৃণমূল মুখে বলে না, করে দেখায়। আমিও কংগ্রেস করতাম। কিন্তু কেন কংগ্রেস ছাড়লাম, কেন তৃণমূল দল তৈরি করলাম, তা বইয়ে লিপিবদ্ধ করে রেখেছি। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষিতও লিপিবদ্ধ করে রাখি। কেউ যদি মনে করেন, তৃণমূল কেন তৈরি হয়েছিল জানা নেই, তাহলে বলব, অনেক বই আছে, পড়ে নেবেন। আমাদের সংগ্রামের কাহিনী বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। হিন্দি, ইংরেজি, অলচিকি, উর্দুতেও বই রয়েছে’’।

আরও পড়ুন: ‘বিজেপির রাজনৈতিক জামানত বাজেয়াপ্ত করব’, চরম হুঁশিয়ারি মমতার


প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের আসন সংখ্যা কমার পর মুখ্যমন্ত্রীত্বের থেকে দলনেত্রী হিসেবেই তিনি বেশি কাজ করবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো দলের হাল ধরতে রীতিমতো উঠেপড়ে লাগেন মমতা। একদা মোদী বাহিনীর সাফল্যের কারিগর প্রশান্ত কিশোরকেও সঙ্গে নেন মমতা। একুশের নির্বাচনে কুর্সি ধরে রাখতে পিকের কৌশল মেনেই এগোচ্ছে মমতা ব্রিগেড, এমনটাই ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের। তৃণমূলের ভোটকুশলী হওয়ার পরই দলের নেতা-মন্ত্রীদের তৃণমূলস্তরে জনসংযোগের দাওয়াই দেন পিকে। এরপরই চালু হয় ‘দিদিকে বলো কর্মসূচি’। এই কর্মসূচিকে সামনে রেখেই তৃণমূলের বহু হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের গ্রামে গ্রামে গিয়ে কর্মীদের বাড়িতে নিশিযাপন করতে দেখা গিয়েছে। এই প্রচারে ভাল সাড়াও মিলছে বলে দাবি করছে রাজ্যের শাসক শিবির। গত বছরের শেষে রাজ্যের তিন উপনির্বাচনে তৃণমূলের হ্যাটট্রিকের নেপথ্যেও এই জনসংযোগ কর্মসূচির ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। এমনকী, নেতা-মন্ত্রীদের হাইপ্রোফাইল তকমা ঝেড়ে ফেলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করার দাওয়াই দিয়েছেন পিকে, বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে এমন কথাও শোনা গিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে এদিন দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তৃণমূল সম্পর্কে মমতার বার্তা উল্লেখযোগ্য বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

Advertisment