একুশের ভোটে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। হাইভোল্টেজ ভোটযুদ্ধে যুযুধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। একদিকে, নিজেকে 'ভূমিপুত্র' দাবি করে মমতাকে 'বহিরাগত' বলে প্রচার চালাচ্ছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে, বাম শাসনের অবসানের অন্যতম মাইলফলক নন্দীগ্রামে এক যুগ পর ফের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত মমতা। আজ, মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে পা রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, বুধবার তিনি মনোনয়ন জমা দেবেন। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দাবি, সব ঠিক থাকলে আজই মনোনয়ন জমা দিতে পারেন মমতা।
শোনা যাচ্ছে, আজ নন্দীগ্রামে মমতার সঙ্গী হতে পারেন দুই বর্ষীয়ান সৈনিক সুব্রত বক্সি এবং শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। দলনেত্রী পৌঁছনোর আগেই তাঁরা নন্দীগ্রামে ঢুকবেন বলে খবর। এও শোনা যাচ্ছে, মমতার সঙ্গী হতে পারেন চণ্ডীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সোহম চক্রবর্তী। তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুর ২টোর পর নন্দীগ্রাম পৌঁছবেন মমতা। নন্দীগ্রামে স্টেট ব্যাঙ্কের পিছনের জমিতে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই হেলিকপ্টার থেকে নামবেন তৃণমূল নেত্রী। তার পর পাশের জমিতে ছোট একটি সভা করবেন। সাধারণ মানুষ তাতে যোগ দিলেও কর্মিসভাই বলা হচ্ছে তাকে।
সভার শেষে সেখানে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে জরুরি বৈঠক রয়েছে মমতার। জেলায় ভোট পরিচালনার দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাই ওই বৈঠকে থাকবেন। আগামিকাল, বুধবার নন্দীগ্রামের একাধিক ধর্মীয় স্থানে যাওয়ার কথা রয়েছে মমতার। পরে দলীয় সমর্থকদের নিয়ে পথসভা করে হলদিয়ায় মহকুমা শাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, ভবানীপুরে যত ভোটে হারতেন মমতা, তার থেকে তিনগুণ বেশি ভোটে নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাবেন শুভেন্দু। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকেও হুঙ্কার দিয়েছেন শুভেন্দু, "মাননীয়াকে নন্দীগ্রামে হারাবই, হারাবই, হারাবই।"