মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বন্যাবিধ্বস্ত ঘাটাল পরিদর্শনে তারকা সাংসদ তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি দীপক অধিকারী ওরফে দেব (Dev)। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এদিন কেন্দ্রকে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই একই সুর শোনা গেল দেবের গলাতেও। মোদী সরকারকে বিঁধে সাংসদের সাফ মন্তব্য," বন্যা হয়ে যাওয়ার পর ক্ষতির জন্যে যে টাকা পাঠানো হয়, সেগুলো আগে পাঠালেই মানুষকে আর এই তাণ্ডব দেখতে হত না। বন্যা আটকানো যেতে পারত। পাশাপাশি ঘাটালের মানুষকেও এত দুর্ভোগের শিকার হতে হত না।"
গত সপ্তাহেই ঘাটালের বন্যা (Ghatal Flood) পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন দেব। বানভাসী এলাকায় খালি পায়ে ঘুরে, সেখানকার মানুষদের অভাব-অভিযোগ শুনে ত্রাণও বিলি করেছিলেন। তবে তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি। প্রবল বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও বেগতিক হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে ঘাটালে গিয়েছিলেন সাংসদ-অভিনেতা দেব। সেইসময়ও তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী না হলে, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হওয়া সম্ভব নয়। এদিনও এই একই সুর তারকা সাংসদের গলায়।
<আরও পড়ুন: ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের অনুমোদন দিচ্ছে না কেন্দ্র, পরিকল্পিত বন্যা: মমতা>
মোদী সরকারকে বিঁধে দেবের মন্তব্য, "ঘাটালে যে ব্রিজগুলো রয়েছে, তা খুব তাড়াতাড়ি মেরামত করাই আমাদের লক্ষ্য। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে লড়াই করে চলেছি আমরা। দিল্লিতে গিয়েও বহুবার বৈঠক করেছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। পাশাপাশি দেব এও উল্লেখ করতে ভুললেন না যে, কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের জন্যই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ আটকে রয়েছে। আমার এখনও মনে হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে ঘাটালবাসীরা এই বন্যা পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে পারবেন।"
প্রসঙ্গত, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের দাবি বহু দিনের। পাঁচ বছর আগে টেকনিক্যাল অনুমোদন পেলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। প্রথমে ঠিক ছিল, এই প্রকল্পের ৭৫ শতাংশ দেবে কেন্দ্র ও রাজ্য দেবে বাকি ২৫ শতাংশ। কিন্তু মোদী সরকার ব্যয়-বরাদ্দ নীতিতে বদল আনে। বলা হয়, দুই সরকার ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০ শতাংশ করে অর্থ দেবে। রাজ্যের অভিযোগ, গত পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পে কানাকড়ি দেয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন