দ্বন্দ্ব সরিয়ে ফের সৌজন্যের নজির। প্রটোকল মেনে রাজ্যপালের নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা হল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে। ঘন্টাখানেক অনুষ্ঠান শেষে রাজভবন ছাড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নতুন বছরের শুরুতেও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে শুভেচ্ছা জানাতে ৬ই জানুয়ারি রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক ঘন্টা ধনকড়-মমতা আলোচনা হয়। ২০ দিনের ব্যবধানে ফের রাজভনে দেখা গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
রীতি অনুসারে স্বাধীনতা ও প্রজাতন্ত্র দিবসের বিকেলে চা চক্রে মুখ্যমন্ত্রী সহ সমাজের বিশিষ্টদের রাজভবনে আমন্ত্রণ জানান রাজ্যপাল। ২০১১ সাল থেকে রীতি মেনেই রাজ্যপালের ডাকা চা চক্রে যোগ দিতেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এর ছেদ পড়ে গত বছর স্বাধীনতা দিবসের বিকেলে।
২০২০ সালের ১৫ আগাষ্ট বিকেলে রাজভবনে না গিয়ে রেড রোডে কুচকাওয়াজের পরেই রাজভবনে চলে গিয়েছিলেন মমতা। দেখা করে সৌজন্য বিনিময় করেন ধনকড়ের সঙ্গে। বিকেলের অনুষ্ঠানে যোগ দেননি তিনি। যা ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলেন রাজ্যপাল। মনে করা হয়েছিল ধনকড়ের ক্রমাগত মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার প্রভাব পড়েছে রাজভবন-নবাবন্নের সম্পর্কে। তাই স্বাধীনতা দিবসে মুখ্যমন্ত্রী রাজভবনে অনুপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু, এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে অন্য ছবি ধরা পড়ল। প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে রেড রোডে ধনকড়ের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মমতাকে। বিকেলে দ্বন্দ্ব সরিয়ে রীতি মেনে রাজ্যপালের ডাকে চা চক্রে যোগ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা বললেন বিশিষ্টদের সঙ্গেও। যা ঘিরে আপাতত নয়া জল্পনার ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন