সিএএ ইস্যুতে তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় এবার কেরালা, পাঞ্জাবের পথে হেঁটেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রস্তাব আনতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল। সোমবার এমনটাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিএএ বিরোধিতার অন্যতম প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উত্তরবঙ্গ যাওয়ার পথে কলকাতা বিমানবন্দরে মমতা বলেন, তিন-চার দিনেই তাঁর সরকার সিএএ বিরোধিতায় প্রস্তাব পেশ করবে।
ঠিক কী বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
এ প্রসঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তিন-চার মাস আগে আমরা বিধানসভায় এনআরসি ও ক্যাব বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেছি। আগামী ৩-৪ দিনে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পাস করা হবে। আমরা সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পেশ করব। আমি অন্যান্য রাজ্যকেও একইভাবে প্রস্তাব পেশ করার জন্য আর্জি জানাচ্ছি’’।
আরও পড়ুন: ‘ভাইপোকে বাঁচাতে দালালি করেছেন মমতা’
উল্লেখ্য, সিএএ বিরোধিতায় প্রথম থেকেই সরব তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ পাসের পর রাজপথে নেমে প্রতিবাদেও শামিল হয়েছেন তিনি। একই ইস্যুতে পথে নেমেছে বাংলার বাম-কংগ্রেসও। বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করার দাবি জানায় বাম-কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যের দুই বিরোধী দলের এই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। সে সময় শাসকদলের পক্ষে থেকে জানানো হয় যে, আগেই এ বিষয়ে প্রস্তাব পেশ হয়েছে বিধানসভায়। তাই নতুন করে এই প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তা নেই।
আরও পড়ুন: বিজেপি আগামীতে আরও কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে পারে : মোদী
মমতা সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাম-কংগ্রেস। এরপরই সিএএ বিরোধিতার ফাঁকেই রাজভবনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন মমতা। এদিকে, কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটে বাংলায় বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ জানিয়ে সিএএ ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠক বয়কট করেন মমতা। এরপরই মোদী-মমতা আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে আসরে নামে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষিতে বিধানসভায় মমতা সরকারের সিএএ বিরোধী প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বঙ্গ রাজনীতির কারবারীরা।