আবারও নজরে পাহাড়, আবারও পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঁচ দিনের পাহাড় সফরে গতকাল সন্ধেতেই দার্জিলিং পৌঁছেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর পাহাড়বাসীর জন্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এবারের সফরে পাহাড়বাসীর জন্য মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচির ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার কালিম্পঙে পাহাড়ের বিভিন্ন জনজাতির বোর্ডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করার কথা মমতার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়বাসীর জন্য যে একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন, তেমনটাই তাঁরা আশা করছেন বলে জানিয়েছেন একটি বোর্ডের প্রধান। কয়েকটি বোর্ড এখনও পর্যন্ত ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের জন্য কোনও ফান্ড পায়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব মমতা
গতবছর গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অশান্ত হয়েছিল পাহাড়। সে সময়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল পাহাড়ের বোর্ডগুলি। দীর্ঘদিন অচলাবস্থার পর অবশেষে বোঝাপড়ার মাধ্যমে পাহাড়কে শান্ত করতে সক্ষম হয় মমতা সরকার। বিনয় তামাংকে সামনে রেখে নতুন জিটিএ বোর্ড তৈরি করেন মমতা। পাশাপাশি, দার্জিলিঙের রিচমন্ড হিলে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর করারও তোড়জোড় শুরু হয়েছিল।
গতবারের দার্জিলিং সফরে মমতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, প্রশাসনিক কাজের জন্য সেখানে একটি দফতর খোলা হবে, যেখানকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের এক কর্তা। মুখ্যমন্ত্রীর চেম্বারের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরে থাকবে কনফারেন্স রুম ও অফিস ব্লক।
আরও পড়ুন, চিঠি লিখে বিতর্কে দিল্লির আর্চবিশপ, পাশে মমতা
দার্জিলিং যে রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ, এবং কোনওভাবেই যে পাহাড় ভাগ বরদাস্ত করা হবে না, সে বার্তা বারংবার দিয়ে এসেছেন মমতা।