মমতা ব্যক্তিগত স্তরে কী করছেন, কী কথা বলছেন - এসব হাঁড়ির খবরও রাখেন মোদী-শাহরা। এমনটাই অভিযোগ তৃণমূল সুপ্রিমোর। রাজনীতির ময়দানে মমতার মতো রাজনীতিকের খবর রাখবে প্রতিপক্ষ শিবির, এমনটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই বলে ঘর-সংসারের কথাও! মমতার ঘরের কথাও সারাক্ষণ নাকি আড়ি পেতে শোনে মোদীবাহিনী। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগই করলেন তৃণমূল নেত্রী। শনিবার শিলিগুড়ির এক নির্বাচনী সভায় মমতা বলেন, "বাড়ির ভাই-বউদের সঙ্গে যে একটু কথা বলব, যে আজ এটা বাজার করি, সেটা পর্যন্ত ট্যাপ করে।" এরপরই বিজেপিকে নিশানা করে মমতা বলেন, "কারও স্বাধীনতা নেই। কারও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই।"
আর কী বলেছেন মমতা? উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "আমার সঙ্গে তো ওদের রোজ লড়াই হয়। সকাল থেকে রাত, সারাক্ষণ খোঁচা দিচ্ছে। বাড়ির ভাই-বউদের সঙ্গে একটু কথা বলব যে, আজ এটা বাজার করিস, সেটা পর্যন্ত ট্যাপ করে। বাজার থেকে আলু-পটল কিনিস, এ কথাও ট্যাপ করে। সকলকে ট্যাপ করে ওরা। এজেন্সিকে দিয়ে ট্যাপ করায়। মানুষের স্বাধীনতা নেই। খালি ভয় দেখায়। সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান কিনে নিয়েছে। কাউকে সিবিআই দেখাচ্ছে তো কাউকে ইডি।"
আরও পড়ুন: মুকুল-কৈলাশ টেপ ফাঁস, আদালতের পথে মুকুল
বিজেপির বিরুদ্ধে মমতার ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। এর আগেও বহুবার তিনি একই অভিযোগ করেছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে ধর্না চলাকালীনও ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মমতা। সেবারও মমতা বলেছিলেন, কথা বলার স্বাধীনতা নেই, ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে।
তবে শুধু বিজেপির বিরুদ্ধেই ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ ওঠেনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর একদা মমতা ঘনিষ্ঠ মুকুল রায়ও ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁর ফোনে আড়ি পাতছে বলে অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছিলেন বর্তমান বিজেপি নেতা। যদিও সে অভিযোগ খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।