মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সুপারইম্পোজড করার ঘটনা নয়া মোড় নিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সুপারইম্পোজড করার ঘটনা এবার গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। মেট গালায় বলিউড ডিভা প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার ছবিতে মমতার মুখ বসিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা শর্মা। এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন হাওড়ার ওই বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রী। জামিনের আর্জি জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল প্রিয়াঙ্কার পরিবার। সোমবারই সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আর্জি জানান প্রিয়াঙ্কার পরিজনরা। মঙ্গলবার এ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি সুপারইম্পোজড করার অভিযোগে ধৃত বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রীকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে হাওড়া আদালত। প্রিয়াঙ্কার জামিনের আর্জি নিয়ে তাই এবার শীর্ষ আদালতে যাচ্ছে পরিবার। এ প্রসঙ্গে প্রিয়াঙ্কার ভাই রাজীব শর্মা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোমবার পিটিশন ফাইল করব’’।
আরও পড়ুন: বুদ্ধদেব বিজেপি বিরোধী, জ্যোতি বসু বেঁচে থাকলে জিজ্ঞাসা করতাম: মমতা
প্রসঙ্গত, স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিভাস হাজরার অভিযোগের ভিত্তিতেই গত শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। মমতার ছবি বিকৃত করার অভিযোগে প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ (মানহানি), ৬৬ এ (আপত্তিকর মেসেজ) ও জামিন অযোগ্য ধারা ৬৭ এ-তে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, প্রিয়াঙ্কার মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে রবিবার হাওড়া ব্রিজ থেকে দাশনগর পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। রবিবার দাশনগরে প্রিয়াঙ্কার বাড়িতে যান আসামের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা। প্রিয়াঙ্কার পরিবারকে সবরকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে বিশ্বশর্মা বলেন, ‘‘আমাদের সভাপতি অমিত শাহ ওঁর বাড়িতে যেতে বলেন। আমরা ওঁর পরিবারকে বলেছি, ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই, আমরা পাশে আছি’’। অন্যদিকে, আরেক বিজেপি নেতা মুখতার আব্বাস নকভি বলেন, বাংলায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘‘আইন আইনের কাজ করবে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনকে ব্যবহার করা ঠিক নয়’’।
মমতার ছবি সুপারইম্পোজড করায় বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রীর গ্রেফতারি নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের আরও দুই বিরোধী দল কংগ্রেস ও সিপিএম। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, এটা ভাল হচ্ছে না। এমন পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নেই। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেন, গোটা দেশে বিজেপি যা করছে, তৃণমূল সেটাই করছে। মোদী সরকারের সঙ্গে মমতা সরকারের কোনও ফারাক নেই।
Read the full story in English