লখিমপুরের ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'উত্তরপ্রদেশে কিলিং রাজ চলছে। সেখানে নির্মমভাবে কৃষকদের হত্যা করা হয়েছে। যা হয়েছে তা খুবই অমানবিক, দুর্ভাগ্যজনক। নির্দয়।' পাশাপাশি তাঁর তোপ, 'বাংলায় সবাই খুশি মতো চলে আসে। কিন্তু ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছে।নিজেদের রাজ্যে কাউকে ঢুকতে দেয় না।'
রবিবারই ঘটনা জানাজানি হতে টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। লিখেছিলেন যে, ‘লখিমপুর খেরির ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপি-র উদাসীন মনোভাব আমাকে যন্ত্রণা দিয়েছে। সোমবার তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের দল আক্রান্ত কৃষক পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। আমাদের কৃষকদের আমরা নিঃশর্ত সমর্থন করছি।’
এ দিন সকালেই উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশে রওনা হন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। ওই দলে রয়েছেন, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, দোলা সেন, প্রতিমা মণ্ডল, আবির রঞ্জন বিশ্বাস এবং সুস্মিতা দেব। ইতিমধ্যেই লখিমপুরে যেতে গিয়ে আটক কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। অনশন শুরু করেছেন তিনি। গ্রেফতার অখিলেশ যাদব। ফলে তৃণমূলের প্রতিনিধিরা আদৌ পৌঁছতে পারবেন কিনা তা নিয়েই সংশয় রয়েছে।
লখিমপুরে কৃষক হত্যার ঘটনায় উত্তাপ বাড়ছে। চাপ বাড়ছে যোগী সরকারের উপর। ইতিমধ্যেই মৃত কৃষকদের পরবিরাবর্গকে ৪৫ লক্ষ ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। আশ্বাস দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত হাইকোর্টের বিচারপতিকে দিয়ে গোটা ঘটনার তদন্তের। তবে, যোগী সরকারের এই ক্ষতিপূরণের রাজনীতির প্রতিবাদ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন