উত্তরের শিলিগুড়ি থেকে দক্ষিণের বিধাননগর। মাঝে শিল্পাঞ্চল শহর আসানসোল ও গঙ্গার পাশে চন্দনগরে বিপুল জয়ের পথে তৃণমূল। ভোটের ফলে খুশি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'মানুষের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। তাঁদের প্রণাম, সালাম জানাচ্ছি।' এবারের ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধী শিবির। হাইকোর্টে যেতে পারে বিজেপি। তবে বিরোধীদের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চার পুরনিগমে এবার জোড়া-ফুলের রমরমা। তৃণমূল সুপ্রিমো ভোটের ফল নিয়ে বলেন, 'যেকোনও জয় আমাদের নম্র ও মানবিক হতে শেখায়। আমাদেরও তা হতে হবে। মানুষের এই বিপুরল রায়ের পর আমাদের শহরগুলির উন্নয়ন করতে হবে, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন শহর করতে হবে। কোভিডমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সর্বপরি শান্তির পক্ষে কাজ করতে হবে। কোনও প্ররোচনায় পা দেওয়া চলবে না।'
এই চার পুরনিগমের ভোটকে 'প্রহসন' বলে দাবি করেছে গেরুয়া শিবির। আগেই আসানসোল ও বিধানগরের পুরভোট বাতিলের দাবি করা হয়েছে বিজেপির তরফে। হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে তারা। বিরোদীদের অভিযোগ নিয়ে মমতার বলেন, 'জগাই, মাধাই ও গদাইদের তো আঁতাঁত রয়েছে। ওরা লোকসভা, বিধানসভা ও পুরসভা ভেদে ভোট হস্তান্তর করে। আসানসোল, বিধাননগরে কোনও ঘটনা ঘটেনি। জামুড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের চেষ্টা হয়েছিল। যা পুলিশ রুখেছে। এই শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য পুলিশ, প্রশাসনের কর্মী ও কমিশনকে ধন্যবাদ জানাবো।'
শিলিগুড়িতে সিপিআইএম নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র অসোক ভট্টাচার্য পরাজিত। রাজ্যে পদ্মও আর সেভাবে পাপড়ি মেলছে না। কয়েকটি ওয়ার্ডে এগিয়ে বামেরা। তা হলে কী বিরোধী শিবিরের ভরকেন্দ্রের বদল হচ্ছে? তৃণমূল নেত্রীর কথায়, 'বিজেপি উত্তরবঙ্গে জিতেছিল। কিন্তু চা বাগানের উন্নতি থেকে অন্য কোনও কিছুই করেনি। বামেরা ৩৪ বছর রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়েছে। আমরা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের করার চতেষ্টা করছি। শিলিগুড়িতে সড়ক পথ, ফ্লাইওভার হচ্ছে। মানুষ পুরপরিষেবা গত কয়েক মাসে ভালো পেয়েছেন। এবার আরও উন্নতি হবে। তাই মানুষ তৃণমূলকে ভরসা করছেন। আর কেউ না কেউ তো দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ হবেই। ওদের নিয়ে ভেবে আমার লাভ নেই। আমি আমাদেরটা দেখছি।'