অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে নিজের অবস্থান বদলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ অভিযোগ তুললেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন সফল করতেই এন আর সি নিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করতে উঠে পড়ে লেগেছেন মমতা।
তৃণমূল নেত্রী আসামের এন আর সি নিয়ে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজয়বর্গীয়।
পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা দলের এই সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নের পিছনে ছুটতে গিয়ে একজন মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মানুষে মানুষে বিভাজনের চেষ্টা করছেন, তা অত্যন্ত লজ্জার।’’
বিজয়বর্গীয়র দাবি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিয়ে নিজের অবস্থান বদলে ফেলেছেন তৃণমূল নেত্রী। এ প্রসঙ্গে ২০০৫ সালের সংসদের এক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন, রাজ্য় সরকারের দোষে আসামে বাদ গিয়েছে এক লক্ষ নাম, দাবী বিরোধীদের
বিজেপির এই নেতা বলেছেন, ২০০৫ সালের ৪ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভায় বাংলাদেশি অনুপ্রেবশ নিয়ে বলার সুযোগ না পাওয়ায়, অধ্যক্ষের পোডিয়ামে এক গোছা কাগজ ছুড়ে মেরেছিলেন।
তের বছরের মধ্যে কেন তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের অবস্থান বদলে ফেলল, সে নিয়ে প্রশ্ন তুলে নিজেই অবশ্য তার উত্তর দিয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁর অভিযোগ, এসবই ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল জাতীয় নিরাপত্তা বা জাতীয় সংহতির তোয়াক্কা না করে, কেবল ভোট ব্যাঙ্কের কথাই ভাবে।
‘‘উনি দিল্লি গেছেন এন আর সি-র বিরোধিতায় অন্য দলের সমর্থন খুঁজতে, কিন্তু কোনও পার্টিই ওঁকে সমর্থন করেনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন, এটি একটি খসড়া মাত্র, কিন্তু উনি সারা দেশের জনগণকে এ নিয়ে ভুল বুঝিয়ে চলেছেন।’’
গত ৩০ জুলাই আসামে এন আর সি-র খসড়া প্রকাশিত হয়েছে, যা থেকে ৪০ লক্ষ আবেদনকারীর নাম বাদ গেছে। এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যেকার সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬ জন সাংসদ, একজন বিধায়ক ও রাজ্যের এক মন্ত্রীকে এনআরসি পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসাম পাঠিয়েছিলেন। ২ আগস্ট সেই দলটি শিলচর বিমানবন্দরে নামলেও তাঁদের এয়ারপোর্টের বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ছিল, এর ফলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠবে। শুক্রবার ওই দলটি কলকাতা ফিরে আসে।