বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর হাত ধরেই পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূল সহ বাম-কাংগ্রেসের মোট ৯ বিধায়ক। এছাড়াও রয়েছেন তৃণমূলের এক বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদ। গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন বহু কাউন্সিলর, জেলাপরিষদ, গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। এক কথায় তৃণমূল যেমন ভাঙছে, তেমনই পোক্ত হচ্ছে বিজেপি। যা দেখে স্বাভাবিকভাবেই খুশি অমিত শাহ। বক্তব্য পেশের সময়ও তাঁর আত্মপ্রত্যয় প্রকাশ পেল। বললেন, 'আজ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন সাংসদ-সহ এক ঝাঁক বিধায়ক ও নেতা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দিদি, ভোট আসতে আসতে তৃণমূলে আপনি শুধু একা থাকবেন।'
দলত্যাগীদের গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক শিবির। উল্টে তাঁদের 'বিশ্বাসঘাতক' বলে দেগে দিয়েছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। যা নিয়ে এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েই সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। এই প্রসঙ্গ টেনেই পরে মমতা বন্দ্যোপাদ্য়ায়কে নিশানা করেন অমিত শাহ। বলেন, 'কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আপনিও তো তৃণমূল করেছিলেন। সেটা দল বদল নয়? আর যখন শুভেন্দু বিজেপি যোগ দিচ্ছেতখন সে বিশ্বাসঘাতক হয়ে গেল?'
একে দল বদলে সাফল্য, অন্যদিকে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে উপচে পড়া ভিড়- যা দেখে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁডে় শাহ বলেন, 'বলেছিলেন লোকসভায় আমরা খাতা খুলতে পারব না। কিন্তু ১৮টায় জিতেছি। এবার বলছি ২০০টার বেশি আসন নিয়েই বাংলায় ক্ষমতায় আসব।'
১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতির কনভয়ে হামলা চলে। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে এ দিন তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হুঁশিয়ারি দেন শাহ। তাঁর কথায়, 'নাড্ডাজির কনভয়ে হামলা হল। দিদি আপনি কী ভাবলেন আমরা তাতে ভয় পেয়ে যাব। ৩০০ কর্মীর প্রাণ গিয়েছে। এসবে আমাদের ভয় দেখানো যাবে না।'
তোলাবাজি, আমফান দুর্নীতি, কেন্দ্রীয় সামাজিক প্রকল্পে কৃষক সহ বঙ্গবাসীর বঞ্চনা নিয়েও এ দিন মমতা সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন অমিত শাহ। জানিয়েদেন, 'কংগ্রেস ও বামেদের আপনারা তিন দশকের বেশি করে সময় দিয়েছেন। মমতা দিদিকেও এক দশক দিলেন। কেউ প্রতিশ্রুতি রাখেনি। আমাদের একবার সুযোগ দিন, আমরা সোনার বাংলা ফিরিয়ে দেব।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন