১৪ বছর আগে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশি অভিযানের জন্য নাম না করে শিশির ও শুভেন্দু অধিকারীকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকি, নন্দীগ্রামে হাওয়াই চটি-পরা পুলিশ ঢোকানোর ‘দায়-ও চাপিয়ে দেন তাঁদের ঘাড়েই। এরপরই ভোট আবহে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
বামেদের প্রশ্ন তাহলে কী বিরোধী নেত্রী স্বীকার করে নিলেন যে, ২০০৭ সালের নন্দীগ্রামের ঘটনা তৃণমূলের চক্রান্ত ছিল?
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল নেত্রীকেই নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা শিশির অধিকারী। মমতার দাবি প্রসঙ্গে কাঁথির তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, 'ওঁর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। এত বড় মিথ্যাবাদী বাংলায় জন্মেছে কি না আমি জানি না। আমার ৮২ বছর বয়স। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন। কিন্তু এমন মানুষ আমি কখনও দেখিনি। উনি যাঁদের কাঁধে পা দিয়ে তিনি এখানে এলেন, তাঁদের তিনি ভুলে গিয়েছেন। শুভেন্দুর রক্ত এখনও ওঁর পায়ে লেগে আছে। উনি যা বলছেন, উপরওয়ালাই তার বিচার করবেন। নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার সঙ্কেত পেয়েই পাগলের প্রলাপ বকছেন উনি।'
পুলিশ প্রবেশ নিয়ে 'বাপ-বেটা'র দায় নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রথমে কোনও নমন্তব্য করতে চাননি। পরে অবশ্য মমতাকে দুষে শুভেন্দুর দাবি, 'ওনার নাটক ধরা পড়ে গিয়েছে। পুরোটাই মিথ্যা। নন্দীমা বইতে উনি কী লিথেছেন তা দেখুক।'
কী বলেছিলেন মমতা?
নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় ভোট প্রচারে গিয়ে তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'যারা গুলি চালিয়েছিল আপনাদের মনে আছে, পুলিশের ড্রেস পরে এসেছিল অনেকে। মনে আছে? মনে পড়ছে? অনেকে পুলিশের ড্রেস পরে এসেছিল। নিশ্চয়ই ভুলে যাননি! নন্দীগ্রাম, নন্দীমা, আমার মনে আছে সব। আমি ডেট ওয়াইজে বলে দেব। মনে আছে, হাওয়াই চটি পরে এসেছিল বলে ধরা পড়ে গিয়েছিল। এ বারেও সেই সব কেলেঙ্কারি করছে। অনেক বিএসএফ, সিআইএসএফ-এর ড্রেস-ট্রেস কিনেছেন। কারণ, যাঁরা এ সব করেন না তাঁরা জানেন। আর আমি এখনও বিশ্বাস করি, আমি পরে শুনেছিলাম, এই বাপ-বেটার পারমিশন ছাড়া সে দিন পুলিশ নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারত না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি। আমিও একটা গভর্নমেন্ট চালাই। আমিও খোঁজখবর পরে নিয়েছি। দেখুন, আমি ভদ্রলোক বলে কিছু বলিনি। ফেয়ার এনাফ।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন