লড়াই এবার ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে। তাই কালক্ষেপ না করে কোমর বেঁধে প্রচারে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রচারে ঝড় তুলতে অবশ্য এবার দলের অভিনেতা-সাংসদের উপরই বেশি ভরসা করছেন নেত্রী। তাঁদের দায়িত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার কালীঘাটে ছিল তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক। সেই বৈঠকে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের দলের কৌশলী রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বৈঠকে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর সময় নষ্ট না করে সবাইকে একযোগে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছে। ফেবরুয়ারির প্রথন থেকে টানা পনের দিন জোড়া-ফুলের প্রচার হবে। বিজেপির দাপাদাপির মোকাবিলায় ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে এভাবে কয়েক দফায় প্রচারে ঝড় তোলার পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল শিবির।
প্রথম পর্যায়ে তৃণমূল নেত্রী নিজে বেশ কয়েকটি জনসভায় অংশ নিয়ে প্রচার সারবেন। পাশাপাশি দলের মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়কদেরও প্রচারে বেরতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে অভইনেতা সাংসদ দেব-মিমি-নুসরৎ-শতাব্দী রায়কে প্রচারের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। লোকসভায় বাঁকুড়ায় দুটি আসনই বিজেপির দখলে গিয়েছে। বিধানসভায় জঙ্গলমহলের এই জেলায় ভালো ফল করতে মরিয়া তৃণমূল। জানা গিয়েছে, বাঁকুডা়ায় প্রচারের জন্যবিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁকে কাজে লাগানোর কথা বলেছেন শাসক দলের নেত্রী।
আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রচারের মূল ফোকাস হবে বিজেপি বিরোধিতা ও রাজ্য সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের সাফল্যের নানা দিক তুলে ধরা। জমি আন্দোলন করেই মমতার রাজনৈতিক উত্থান। সেই কথা মাথায় রেখে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদ করা হবে। পদ্ম শিবিরকে 'বহিরাগত' বলে দেগে দিতে মরিয়া তৃণমূল। গেরুয়া বাহিনী বাঙালি সংস্কৃতির পরিপন্থী প্রচারে সেই বিষয়টিও বিশেষ করে উল্লেখ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
প্রত্যেক শীর্ষনেতাকে কমপক্ষে প্রতি মাসে দলের জন্য ১০ দিন করে সময় দিতেই হবে- বৈঠকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা ভোটের ফলাফলের নিরিখে উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহলে বেশি জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। এইসব অঞ্চলে নেতাদের গোষ্ঠী কোন্দল মিটিয়ে নেওয়ারও কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আপাতত লোকসভা ভোটে যেসব অঞ্চলে তৃণমূলের খারাপ ফলাফল হয়েছে সেখানে প্রচার সারতে বলা হয়েছে। মমতাও উত্তরবঙ্গ, রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলোতে প্রচার সেরেছেন। এইসব এলাকায় কমপক্ষে দু'বার প্রচার চালাবার পরিকল্পনা করেছে ঘাস-ফুল শিবির।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুনstrategy