/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/07/modi-mamata-dilip.jpg)
মমতার নিশানায় গেরুয়া বাহিনী।
তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের দিল্লি যাত্রার বাকি আর মাত্র কয়েক ঘন্টা। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় পেয়েছেন তিনি। জল্পনা সেই বৈঠকে মোদী-মমতা কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু এই বৈঠক নিয়েই রবিবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কী কারণে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে মরিয়া তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন মেদিনীপুরের সাসংদ।
কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ?
এদিন প্রাঃভ্রমণে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। সেখানেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি। বলেন, 'উনি বুঝেছেন দেশের বাকি বিরোধিরা সাফ হয়ে গিয়েছে। এদিকে ওনার দলের মধ্যেই খুনোখুনি চলছে। ২০২৪-এ ভোটে লড়তে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে। বাংলাজুড়ে ভুয়ো আইএস, আইপিএস, নীলবাতি গাড়ি চলছে। ভ্যাকসিন-স্টাইপেন্ট কেলেঙ্কারি চলছে। সরকার চালানোর পরিস্থিতি নেই। তাই এখন মোদীজির কাছে যাচ্ছেন হাতজোড় করতে। বলবেন, আমি আর পারছি না সাহায্য করন।'
তৃণমূলের নজরে ২০২৪। মোদী সরকার উৎখাতে মরিয়া মমতা। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিরোধীদের বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গঠনের বার্তা দিয়েছেন তিনি। তৃণমূল নেত্রীর এবারের রাজধানী সফর সেই বিজেপি বিরোধী শক্তির সলতে পাকানোর প্রথম পদক্ষেপ হতে চলেছে। যাকে 'পলিটিক্যা ট্যুরিজিম' বলে কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, 'বিজেপি বাংলার বিধানসভা ভোটে ৩ থেকে ৭৭ হয়েছে। শতাংশের বিচারে ৩৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছে। কিন্তু তৃণমূল যেখানে ছিল সেখানেই আটকে রয়েছে। মানুষ ওঁর দলকে জেতালেও ওনাকে হারিয়েছে। ফলে বিধানসবা ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত। এবার তাই বাংলা ছেড়ে উনি যেতে চাইছেন। প্রমোশন চাইছেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু, এমন সব পার্টিকে নিয়ে উনি জোট গড়ার কথা ভাবছেন যাদের দেশের সর্বত্র ঘুরে পলিটিক্যাল ট্যুরিজিম ছাড়া কিছু করার নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেগুলোর এজেন্সি নিয়েছে।'
মমতা 'মোদীর কাছে হাতজোড় করতে যাচ্ছেন', দিলীপের এহেন মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেছেন, 'কেন্দ্রীয় রিপোর্টেই প্রকাশ যে রাজ্যের আয় গত ১০ বছরে বেড়েছে। আর কেন্দ্র বাংলার প্রাপ্য। বহু দিন ধরেই আটকে রেখেছে। সেগুলো যদি মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে দাবি করেন তাতে দোষের কি আছে? গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ সৌজন্য। আসলে বাংলায় বিজেপির হারে মানসিক অবসাদে ভুগছেন দিলীপবাবু। তাই প্রলাম বকছেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us