/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/12/mamata-nadda1.jpg)
'মমতার দ্বিতীয় নামই অসহিষ্ণুতা।' হেস্টিংসে দলের নির্বাচনী দফতরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন জে পি নাড্ডা। একই সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সরকারকে উৎখার করার ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।
রাজ্যে বেড়ে চলা হিংসার পরিবেশ নিয়ে এদিন সরব হন নাড্ডা। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সহিষ্ণুতার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে বলেন, 'রাজনীতিতে রজনৈতিক আদানপ্রদান স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এখন এ রাজ্যে এসব আর হয় না। কারণ মুখ্যমন্ত্রী। মমতার আর এক নাম অসহিষ্ণুতা। তাই রাজ্যে তৃণমূল সরকারের আমলে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে।'
কলকাতা থেকে এদিন অনলাইনে বিভিন্ন জেলায় বিজেপি ৯টি নির্বাচনী কার্যালয়েরও উদ্বোধন করেন জে পি নাড্ডা। এপ্রসঙ্গেই তিনি অফিস ও পার্টি অফিসের মধ্যে পার্থক্যের কথা তুলে ধরেন। বলেন, 'অফিস নির্দিষ্ট সময় মেনে খোলে, বন্ধ হয়। কিন্তু পার্টি অফিস সবসময় চলে।'
পরিবারতন্ত্র নিয়েও বুধবার তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধেছেন সর্বাভারতীয় বিজেপি সভাপতি। তাঁর কথায়, 'এমাদের দল দফতর থেকে চলে। আর অন্যদের পরিবারই পার্টি। তৃণমূলও তার থেকে আলাদা নয়। তৃণমূলও একটি পরিবারের পার্টি। অন্যদিকে বিজেপির পার্টিই পরিবার।'
পাশাপাশি এদিনও নাড্ডা দাবি করেছেন বাংলায় ২১-এর বিধানসভা ভোটে ২০০-র বেশি আসন নিয়ে জিতবে বিজেপি। সোনার বাংলাকে দুর্নীতি, ভাই-ভাতিজার রাজনীতি গ্রাস করেছে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। সরব হন তৃণমূলের তুষ্টিকরণের রাজনীতির বিপক্ষেও।
এদিকে হেস্টিংসে দলের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করতে আসার সময় জে পি নাড্ডাকে কালো পতাকা দেখানো হয়। কৃষি আইন প্রত্যাহার–সহ একাধিক স্লোগান লেখা পোস্টার এবং কালো পতাকা নিয়ে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীরা তাঁদের হঠিয়ে দিতে গেলে একপ্রস্থ ধস্তাধস্তিও হয়। রাস্তায় চিৎকার জুড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। কালা আইন বাতিল করুন বলে স্লোগান তোলা হয়।
কালো পতাকা দেখার পর রাজ্য সরকারকে কড়া সমালোচনা করে নাড্ডা বলেন, ‘বাংলায় ১৩০ জন বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। যখন–তখন বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যাঁরা সরকারের সমালোচনা করছেন, তাঁদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহিষ্ণুতার সরকার চালাচ্ছেন।’
তবে কারা এই কালো পতাকা কারা দেখিয়েছেন? তা পুলিশ স্পষ্ট করে বলতে পারেনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন