মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নস্যাৎ করল কেন্দ্র। চিঠিতে সাফ জানানো হল, কলাইকুন্ডার বৈঠক থেকে বেরিয়ে দিঘায় দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও অনুমতি নেননি।
এমনিতেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যেয় বদলি ইস্যুতে কেন্দ্র-রাজ্য় টানাপোড়েন চরমে। এরপর কেন্দ্রের পাল্টা চিঠিতে সেই টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির প্রতিবাদ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সোমবার দিল্লিতে যে চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে উল্লেখ ছিল যে, মুখ্যমন্ত্রী কলাইকুন্ডার বৈঠক থেকে মুখ্যসচিবকে নিয়ে দিঘায় বিপর্যয় খতিয়ে দেখতে রওনা হওয়ার আগে ‘নির্দিষ্ট ও স্পষ্ট ভাবে’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুমতি নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি ছিল, যেহেতু তিনি প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি নিয়েই বৈঠক ত্যাগ করেছেন, তাই সেটা নিয়ে বিতর্ক করা উচিত নয়। সেখানেই বিষয়টির ইতি টানা উচিত ছিল কেন্দ্রের।
ইয়াসে পরবর্তী মোদীর ডাকা পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতক্ত তৈরি হয়। প্রথমে যোগ দেওয়ার কথা বললেও পরে বৈঠকে যাননি মমতা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ স্থানীয় বিজেপি নেতারা থাকায় মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক এড়িয়ে যান। তবে বৈঠক শুরুর পর কলাইকুন্ডায় গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিদর্শনের জন্য রিপোর্ট দেন। তারপরই সেখান থেকে দিঘায় চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। ছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের অভিযোগ, প্রটোকল ভেঙে প্রথমে মোদীর কলাইকুন্ডা পৌঁছানোর পর সেখানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া তিনি কোনও অনুমতি ছাড়াই দিঘায় চলে যান।
ওই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার জন্য অবসরের পরও প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ করে কেন্দ্র। যা ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন