CM at Nabanna: জিটিএ-তে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উত্তরবঙ্গে সরব রাজ্যপাল। আর সেদিন দক্ষিণবঙ্গে বসে জগদীপ ধনকড়কে দুর্নীতি অস্ত্রেই বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত নয়ের দশকের কুখ্যাত হাওয়ালা কেলেঙ্কারির প্রসঙ্গ টেনে এদিন নবান্নে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন রাজ্যপালের নাম না করে তাঁর আক্রমণ, ‘জৈন-হাওয়ালা মামলায় কে যুক্ত ছিল? চার্জশিটে নাম ছিল কিনা আগে প্রকাশ করুক। যেভাবে টাকা-কমিশনকে কাজে লাগিয়ে ভোট সবাই জানে। অফিসার, পর্যবেক্ষকের বদলে রাজনৈতিক কমিশন ভোট করিয়েছে। ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সোশাল মিডিয়ায় প্রচারের চেষ্টা চলছে।‘ দেখুন সেই ভিডিও:
উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতেই রাজ্যপাল দার্জিলিং গিয়েছেন। এদিন অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘রাজ্যপাল এখন কেন উত্তরবঙ্গে গেলেন? আমি এরকম রাজ্যপাল আগে কখনও দেখিনি। রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে ৩টি চিঠি লিখেছি। জিটিএ নিয়ে তদন্তের আগে আগে রাজ্যপালের সফরের তদন্ত হওয়া উচিত। কাদের নিয়ে গেছে,কত টাকা খরচ হয়েছে, সব তদন্ত হওয়া উচিত। দার্জিলিঙের উপর এত রাগ কেন? যা ইচ্ছে তাই করবেন, মেনে নেব না। উত্তরবঙ্গকে অশান্ত করতে জেনেবুঝে দার্জিলিঙে গেছেন রাজ্যপাল। শুধু বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গকে ভাগের চক্রান্ত চলছে, এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছেন রাজ্যপাল।’
এদিন তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রাজ্য সদর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বড় কোনও ঘটনা হলে আপনারা (সাংবাদিক) জানতেন না? ছোট ঘটনা আমাদের নজরে আসতেই ব্যবস্থা নিতে বলেছি।‘
এদিকে, উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় রওনার আগে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-র দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল। পাহাড়ের উন্নয়নের বদলে জিটিএ মারফত কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন জগদীপ ধনকড়। স্বচ্ছতার জন্য জিটিএ অ্যাকাউন্টের অবিলম্বে অডিটের দাবি তুলেছেন তিনি। ২০১৭ সালে তৈরি হয় জিটিএ। এটি স্বশাসিত একটি সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জিটিএ-র কাজের দায়িত্ব বন্টন হয়। মূলত পাহাড়ের উন্নয়নে গঠিত এই স্বশাসিত সংস্থার প্রথম প্রধান ছিলেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা বিমল গুরুঙ্গ। কিন্তু এই সংস্থা কাজ শুরুর কিছুদিনের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা হয় গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে। এরপর রাজ্য সরকার বিমল গুরুঙ্গকে সরিয়ে জিটিএ চেয়ারম্যান করে বিমল বিরোধী মোর্চা মেতা বিনয় তামাঙকে।
অপরদিকে, পরে জিটিএ চেয়ারম্যান করা হয় অনিত থাপাকে। বর্তমানে পরিচালনমণ্ডলী জিটিএ চালাচ্ছে। প্রতিষ্ঠান শুরু থেকেই জিটিএ পরিচালক সদস্যরা মনোনিত। আর এতেই আপত্তি রাজ্যপালের। শতাধিক পুরসভার মতো কেন এতদিন জিটিএ-তে নির্বাচন হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। জিটিএ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যপূরণেও ব্যর্থ বলে দাবি করেছেন ধনকড়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন