'গদ্দার, বেইমান, মীরজাফর'- কয়েক মাস আগেই এই শব্দবন্ধেই আলোড়িত হত প্রচারসভা। ২১শের মঞ্চেও আবার উঠে এল গদ্দার প্রসঙ্গ। নাম না করেই শুভেন্দুকে ফের নিশানা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দাবি করলেন, 'গদ্দারদের রাজনৈতিক বিদায় হবেই।'
কী বলেছেন মমতা?
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মোদী সরকার ও বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্র দেশের সব গণতান্ত্রিক কাঠামো ভেঙে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন নেত্রী। পেগাসাস প্রসঙ্গে সুর চড়িয়ে বলার মাঝেই উঠে আসে গদ্দার প্রসঙ্গ।
সোমবার তমলুকে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে বিজেপি. নেতৃত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে আক্রমণ করে বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন যে, 'চটিমণি, পিসিমণি কেউ বাঁচাতে পারবে না। ভাইপোর অফিস থেকে যাঁরা আপনাকে ফোন করে, প্রত্যেকটা কল রের্কডিং আছে। আপনাদের হাতে রাজ্য সরকার থাকলে আমাদের হাতে কেন্দ্রীয় সরকার আছে।'
আরও পড়ুন- ফোনের ক্যামেরা ঢেকেছেন প্লাসটারে, ‘পেগাসাস মোদীর নাভিশ্বাস’ তোপ মমতার
এরপরই মঙ্গলবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপিংয়ের অভিযোগ তোলে তৃণমূল। বিরোধী দলনেতারা বিরুদ্ধে ফোট ট্যাপ সহ একাধিক ধারায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে জেলা পুলিশ। সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, 'নির্বাচন আমাকে অনেক শিক্ষা দিয়েছে। যারা গদ্দারি করেছে, সেই গদ্দারদের মনে রাখবেন। অনেক গদ্দার আছে মুখে বড় বড় কথা বলছে। আবার ফোন ট্যাপিংয়ের কথাও বলছে।'
আরও পড়ুন- বাংলা দখলের পরই মমতার মুখে ‘জয় হিন্দুস্থান’ ধ্বনি, বিরোধী ফ্রন্টের ডাক
এরপরই হুঙ্কার দেন মমতা। বলেন, 'বিজেপি পার্টিতে গদ্দারদের জন্ম হয়। ভালো লোকেদের জন্ম হয় না। কারণ ওরা সভ্যতা জানে না। সংস্কৃতি জানে না। এভাবেই ওরা সবার মুখ বন্ধ করে দেয়। অমি বিশ্বাস করি গদ্দারদের মানুষ রাজনৈতিকভাবে বিদায় দেবে। '
মমতার হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'কে গদ্দার মানুষ ভালো করে জানেন। নন এমএলএ মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে তা কাউকে শিখতে হবে না। সাহায্য সত্ত্বেও কেন একাধিকবার এনডিএ-র হাত ছেড়েছেন উনি আগে তার জবাব দিক। তারপর কে গদ্দার প্রমাণ হবে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন