সেন্ট স্টিফেন্স কলেজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি বাতিলের পিছনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস।
শুক্রবার এক ই মেল পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়ে যে কলেজে এত ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনার জেরে তাঁর কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছে। এই বাতিলের কারণ হিসেবে পরিকাঠামোগত সমস্যার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই মেলে।
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘‘এই কর্মসূচি ৬ সপ্তাহ আগে স্থির করা হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘প্লিজ কাম’ বলে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজের তরফ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, তিনি কবে আসতে পারবেন তাও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। ছাত্রদের অনুরোধে মমতা সাড়া দিয়েছিলেন, সেই মতো দিল্লির কর্মসূচি স্থিরও করা হয়েছিল। ’’
‘‘কিন্তু শুক্রবার বেলা ৩ টে ২০ নাগাদ কলেজের তরফ থেকে মমতাকে পরিকাঠামোর সমস্যা, হল না থাকার সমস্যার মতো কিছু বোকা বোকা কারণ দেখিয়ে কর্মসূচি বাতিল করা হয়।’’ ডেরেকের অভিযোগ, ‘‘এটা স্পষ্ট যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর চাপেই এ ঘটনা ঘটেছে।’’
মমতার দিল্লি সফরের প্রাথমিক কারণ হল, ক্যাথলিক বিশপদের ডাকা লাভ ইয়োর নেবার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়া। সেখানে কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতা আগামী ৩১ জুলাই সংখ্যালঘুদের ওপর ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।
আরও পড়ুন, সেন্ট স্টিফেন্সের ভাষণ বাতিল, বিজেপি বিরোধীদের এককাট্টা করতে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা
আগামী সোমবার দিল্লি পৌঁছোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ব্রিগেডে প্যারেড গ্রাউন্ডের বিরোধীদের জনসভায় যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন দলীয় নেতৃত্বকে আমন্ত্রণ জানাবেন তিনি।
সেন্ট স্টিফেন্সের অধ্যক্ষ জন ভার্গিজ এবং বার্সার রেনিশ আব্রাহামকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তিনি ফোন ধরেননি বা এসএমএসের জবাব দেননি। প্ল্যানিং ফোরামের প্রেসিডেন্ট করণ ডেভিড এ নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কলেজ ফ্যাকাল্টির সূত্র মারফৎ জানা গেছে, ‘‘অধ্যক্ষ শেষ মুহূর্তে ভাষণ বাতিল করেছেন।’’
সূত্রটি আরো জানিয়েছে, ‘‘অধ্যক্ষ বলেছেন, তাঁকে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়নি। গত এক বছরে আয়োজনের জন্য সেন্ট্রালাইজড অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। অধ্যক্ষ মনে করেছেন, এ ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে ওই কলেজে তাঁর দেশের ধর্মনিরপেক্ষতা বিষয়ে ভাষণ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সম্ভবত ৩১ জুলাইয়ের ভাষণে সেন্ট স্টিফেন্সে তাঁর ভাষণ বাতিল প্রসঙ্গ তুলবেন মমতা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।