আইপিএস বদলি ইস্যুতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি বিরোধী চার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন। রবিবার এঁদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্যের মোড়কে যা কার্যত বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক অক্ষ গঠনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করল বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। সূত্রের খবর, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে কলকাতায় বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে যেমন সভা হয়েছিল, তেমনই এক সভা বা ব়্যালির আয়োজন করা হতে পারে আগামী জানুয়ারিতে। এক্ষেত্রেও মুখ্য ভূমিকায় থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
রবিবার বিকেলে টুইটবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, আইপিএসদের বদলি করে নির্লজ্জভাবে কেন্দ্র রাজ্যের এক্তিয়ারে নাক গলাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে বাংলার পাশে থাকার জন্য দিল্লি, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে কেজরিওয়াল, ভূপেশ বাঘেল, ক্যাপটেন অমরিন্দর সিং, অশোক গেহলটকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মমতা। এছাড়াও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়েছে ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিনকে। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা মজবুত রাখতে এঁদের ধন্যবাদজ্ঞাপণ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
জানা গিয়েছে ২০১৯-য়ের মত বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে যে সভা বা ব়্যালির আয়োজন মমতা করতে চলেছেন সেখানে আপ প্রধান কেজরিওয়াল, এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, ডিএমকে সুপ্রিমো স্ট্যালিন সহ আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তির নেতাদের আসতে বলা হতে পারে।
তৃণমূলের বিবৃতি অনুসারে, মমতা বন্দ্যোপাদ্যায় রবিবার সকলে শরদ পাওয়ারকে ফোন করেছিলেন। আইপিএস ইস্যুতে বাংলা সরকারের অবস্থানকে সমর্থন করেছেন পাওয়ার। তাই কৃতজ্ঞতা জানাতেই মমতা-পাওয়ার কথোপকথন। ইতিমধ্যেই বিরোধী সভার কথা তৃণমূল নেত্রী শরদ পাওয়ারকে জানিয়েছেন এবং প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন মারাঠা রাজনীতির বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
সাংনেই পশ্চিবঙ্গে বিধানসভা ভোট। তার আগেই তৃণমূল ছেড়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতা। ঘোস-ফুল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন দলের সাত বিধায়ক ও এক সাংসদ। রাজ্যে শক্তি বৃদ্ধি করেছে গেরুয়া বাহিনী। ফলে এবারের ভোট কার্যত চ্যালেঞ্জ জোড়া-ফুল শিবিরের কাছে চ্যালেঞ্জ। সেই প্রেক্ষাপটে জাতীয়স্তরে মমতার বিজেপি বিরোধী অক্ষ গঠন ও তা মজবুত করার প্রয়াস অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী।
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার পথে গত ১০ ডিসেম্বর সর্বভারতীয় বিজেপি সভাতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে গামলা চলে। ইঁট-পাথর ছোড়া হয়। বিজেপি কাঠগড়য় তোলে শাসক তৃণমূলকে। এই ঘটনায় রাজ্যে কর্মরত তিন আইপিএস-য়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তারপরই ওই তিন পুলিশ অফিসারকে কেন্দ্রীয় ডেপুটেশনে পাঠানোর নির্দেশ দেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীক। রাজ্যের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই পরে তাঁদের নিয়োগও করা হয়। যা ঘিরে বর্তমানে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব তুঙ্গে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন