আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় আড়াই বছর পর ফের মুখোমুখি এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। মঙ্গলবারই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের আর্থিক দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হবে বলে জানিছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যাওয়ার আগে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বলেন, 'রাজ্যের বেশ কিছু আর্থিক পাওনা কেন্দ্রের কাছে বাকি রয়েছে। সেগুলি নিয়ে কথা হবে। ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ, রেল সহ নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলার রয়েছে। এছাড়া, রাজ্যের নাম পরিবর্তন নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন রয়েছে। তারপর আলোচনা যেভাবে এগোবে তার ভিত্তিতে কথা বলে।' তাঁর দিল্লি সফরের কারণ যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ তা স্পষ্ট করে দেন মমতা। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সংসদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জি ফেরাল বারাসত আদালত, আজ নজরে আলিপুর কোর্ট
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে একাধিকবার মোদীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলায় নির্বাচনী প্রচারে এসে মমতাকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি মোদী। উনিশের নির্বাচনী প্রচারে মোদী-মমতা বাগযুদ্ধে সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি।
আরও পড়ুন: মোদীর স্ত্রীর সঙ্গে হঠাৎ সাক্ষাৎ মমতার
ভোট পরবর্তী সময়েও মোদী বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ কমাননি তৃণমূলনেত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে সংকীর্ণ রাজনীতির অভিযোগ তুলে দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রিসভার শপথেও যোগ দেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি আরটিআই, এনআরসি ইস্যুতে বিরোধিতা জানিয়ে সোচ্চার হয়েছেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, ‘‘আরেকটা বঙ্গভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। বাংলাকে যাঁরা হিংসা করেন, তাঁরা জেনে রাখুন, বাংলা মাথা নত করবে না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। আমরা সবাই রয়েছি দেশকে রক্ষা করার জন্য। আরেকবার ভারত ভাগ করতে দেব না’’।
অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবসে বিজেপিকে বিঁধে মমতা টুইটারে লিখেছেন, ‘‘আসুন আমরা সকলে আমাদের দেশের সাংবিধানিক পরিকাঠামোকে অক্ষুণ্ণ রাখার অঙ্গীকার করি। এই ‘সুপার এমারজেন্সি’-র জমানায় মানুষের সাংবিধানিক অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যা যা করতে হবে আমরা তা অবশ্যই করব।” গত কয়েকদিনে, সারদা চিটফান্জ মামলায় সিবিআই তদন্ত এখন গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছে। রীতিমতো চাপে আইপিএস রাজীব কুমার। তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। এই আবহে মোদীর সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।