পঞ্চমদফার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের যে কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে, তার অন্যতম হল বনগাঁ। দীর্ঘদিনের বাম আধিপত্যে ফাটল ধরিয়ে ২০০৯ সালে পরিবর্তনের হাওয়ায় ভর করে সাংসদ হয়েছিলেন তৃণমূলের গোবিন্দ নস্কর। তারপর গঙ্গা আর ইছামতি দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। মতুয়া অধ্যুষিত কেন্দ্রে মতুয়া মহাসংঘের ঠাকুরবাড়ির উঠোনে লেগেছে রাজনীতির আবীর।
২০১৪ সালে তৃণমূলের সংগঠন আর মতুয়া আবেগে ভর করে দিল্লি গিয়েছিলেন মমতাবালা ঠাকুর। এবারও তিনিই প্রার্থী জোড়াফুলের। তাঁর মাথায় রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'আর্শীবাদ', সঙ্গে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নিজস্ব ভোট মেশিনারি। কিন্তু বনগাঁর অলিগলিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, মমতাবালার লড়াই এবার ঈষৎ কঠিন। বিজেপি-র পক্ষে হাওয়া বইছে বলে বলে জল্পনা শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেই।
বনগাঁর লড়াই এবার একই পরিবারের দুই সদস্যের মধ্যে। একজন প্রবীনা, পাঁচ বছরের সাংসদ। অন্যজন নবীন, রাজনীতিতে আনকোরা। মমতাবালার বিরুদ্ধে পদ্মফুলের টিকিটে লড়ছেন মতুয়া মহাসংঘের অন্য অংশের প্রতিনিধি মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরের ছেলে শান্তনু। জ্যোতিপ্রিয়ের হাত ধরে মমতাবালা আসন ধরে রাখতে পারবেন, নাকি বনগাঁর আকাশে উড়বে গেরুয়া আবীর- সেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে ২৩ মে। তার আগে ভোটের আগের দিন একনজরে জেনে নিন তৃণমূল প্রার্থীর যাবতীয় খুঁটিনাটি-
প্রার্থীর নাম- মমতাবালা ঠাকুর
কেন্দ্র- বনগাঁ
দল- তৃণমূল কংগ্রেস
শিক্ষাগত যোগ্যতা- সপ্তম শ্রেণি উত্তীর্ণ
অস্থাবর সম্পত্তি- ৯২ লক্ষ ৮৩ হাজার ৭৬৩ টাকা
স্থাবর সম্পত্তি- ১ কোটি ২৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৫৩ টাকা
হাতে নগদ- ১৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ২০৪ টাকা
বিমা ও বিনিয়োগের মোট মূল্য- ৮৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৬ টাকা
মামলা- মোট ৪টি মামলা, গুরুতর আইপিসি ধারা ৬, অন্যান্য ধারা ৭