একদা বাংলা থেকে বাম হঠাওকেই পাখির চোখ করেছিলেন মমতা। এবার তাঁর নজরে দেশ থেকে বিজেপি উৎখাত। লক্ষ্যপূরণে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে মরিয়া তৃণমূল নেত্রী। মিশন সফল করতে এই জোটে একদা চরম প্রতিপক্ষ বামেদেরও ঠাঁই দিতেও আপত্তি নেই মমতার। দিল্লিতে দাঁড়িয়ে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে বিমান বসু, জাতীয়স্তরে তৃণমূলের সঙ্গে জোটে কোনও ছুৎমার্গ নেই বলে আগেই জানিয়েছিলেন। যা নিয়ে আলিমুদ্দিনের অন্দরে কম বিতর্ক হচ্ছে না। এবার জাতীয়স্তরের বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে বামেদের বার্তা দিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী। বামেদের, মূলত সিপিএমকে এদিন মমতার পরামর্শ, 'আগে প্রধান শত্রু স্থির করুক সিপিএম।'
মিশন ২০২৪-কে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে তৎপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই এবার তাঁর দিল্লি সফর। গত তিনদিনে একদিকে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়ার সঙ্গে যেমন বৈঠক করেছেন মমতা, তেমনই কেজরিওয়াল সহ বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের সঙ্গেও জোটদৌত্য চালিয়ে গিয়েছেন। বুধবার দুপুরে আবার দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে হাজির হয়ে কেন্দ্র আগামিতে বিরোধীতায় রূপরেখা বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
আরও পড়ুন- ‘লিডার নই-আমি ক্যাডার’, সোনিয়াকে বার্তা মমতার
আরও পড়ুন- সুখেন্দু শেখরের বাড়িতে টিএমসির সংসদীয় বৈঠকে মমতা, ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’, মন্তব্য সৌগতর
এরপরই এদিন দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'সিপিএমের বোঝা উচিত কে ওদের প্রধান শত্রু। কেরেলায় সেটা কিছুটা করতে পেরেছে ওরা। বাংলায় বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে।'
মমতার বার্তায় কী সাড়া দেবে বামেরা? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়ের থেকে আমরা পরামর্শ চাইনি। দেশজুড়ে এখন প্রধান শত্রু বিজেপি এ নিয়ে কোনও বিভ্রান্তি নেই। কিন্তু বাংলায় তৃণমূল নেত্রীর জন্যই বিজেপি আজ ৭৭টা আসন জিতেছে। উনিই একবার কংগ্রেস, একবার বিজেপির হাত ধরেছেন। ফলে মমতাই আগে স্থির করুন বিজেপি বিরোধীতায় তৃণমূলের অবস্থান কী হবে।'
বামফ্রন্টের শরিক দলগুলোর দাবি, প্রধান শত্রু বিজেপি। তাই বৃহত্তর জোটে তৃণমূল থাকলেও আপত্তি নেই। কিন্তু, সিপিএম দলীয়স্তরে এ নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে মতপার্থ্যক্য রয়েছে আলিমুদ্দিনে। ফ্রন্টেও এপ্রসঙ্গে এখনও কথা হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন