বিচ্ছিন্নতাবাদী ধারণা পোষণের অভিযোগ আগেই খারিজ করে দিয়েছিলেন আপের আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একসূত্রে গেঁথে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বিজেপি, কংগ্রেস ও অকালী দলকে। কিন্তু, পাঞ্জাব ভোটের আগে তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের আক্রমণের হাতিয়ারকেই পুঁজি করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'আপনি যাকে সন্ত্রাসবাদী বলছেন তিনি ১২.৪৩০টি শ্রেণীকক্ষ দেশকে উৎসর্গ করছেন। সেই সন্ত্রাসবাদী এমন স্কুল বানাচ্ছে, যেখানে গরীব ও ধনী একসহ্গে পড়াশুনা করতে পারে। সেই সন্ত্রাসবাদীই বাবাসাহেব আম্বেদকর এবং ভগত সিংয়ের স্বপ্ন পূরণ করছেন।'
তাঁর সংযোজন, “প্রায় তিন বছর আগে, আমরা ১১০০০ শ্রেণীকক্ষ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আজ, মাত্র তিন বছর পর, ১২,৪৩০টি শ্রেণইকক্ষ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। দেশের সার্বিক ব্যবস্থা বিবেচনায় এটি আসাধারণ। সাধারণত স্কুল এবং হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে স্থাপন করা হয়, যা কখনওই বাসতব্রে মুখ দেখে না।'
কেজরিওয়াল সমস্ত দিল্লিবাসী এবং স্কুলগামী শিশুদের এই কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, 'যদি আমরা একটি নতুন স্কুল তৈরি করি, তাতে সর্বোচ্চ ৫০০টি শ্রেণীকক্ষ থাকবে। এমনকি যদি আমরা সেই পরিসংখ্যান বিবেচনা করি তবে তাহলে আজ ২৫০টি নতুন স্কুল তৈরি হচ্ছে। এই স্কুলগুলিতে ল্যাবরেটরি, হল এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম রয়েছে, যা অনেক বেসরকারী স্কুলে নেই।'
'গত সাত বছরে ২০ হাজার শ্রেণীকক্ষ তৈরি করা হয়েছে। যা সব রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মিলিত সংখ্যার চেয়ে বেশি।' দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
আম্বেদকরের আদর্শের আহ্বান জানিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন: "এটা দুর্ভাগ্যজনক যে স্বাধীনতার 75 বছর পরেও, দেশের অন্যান্য অংশে সরকারি স্কুলে নিম্নমানের শিক্ষার কারণে দরিদ্র লোকেরা ভুগছে। আমি খুশি যে আমরা দিল্লিতে অন্তত বাবাসাহেবের স্বপ্ন পূরণ করতে শুরু করেছি।”
'আমাদের লক্ষ্য নির্বাচনে লড়াই করা এবং সব জায়গায় জয়ী হওয়া নয়। আমরা নেপোলিয়ন নই…। আমাদের অগ্রাধিকার দেশ। ভালো কাজ করে যদি তারা ভোট পায়, সেটাই হোক। তাতে আমাদের কী? দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।' এই মন্তব্য আপ শীরষ নেতার।
'রাজনীতিবিদরা সাধারণত স্কুল তৈরি বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। ভাল স্কুল তৈরি হলে রাজনীতিবিদদের জাত ও ধর্মের নামে ভোট পাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে তাঁরা স্কুল চায় না, তাঁরা দেশভক্ত তৈরির কারখানা চায়। একবার শিক্ষিত হলে, মানুষ জাতি-ধর্মের নামে নয়, উন্নয়নের নামে ভোট দেবে।' সাফ দাবি আপের আহ্বায়কের।
Read in English