দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে তিহার জেলে বন্দী মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে তোলপাড় চলছে। আজ, দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে কেজরিওয়াল তার চিকিৎসকের থেকে নিয়মিত ভার্চুয়াল পরামর্শের অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।
জেলে আলু, পুরি ও মিষ্টি, আম খেয়ে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াচ্ছেন কেজরিওয়াল। ইডির এমন দাবির জবাব দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবী। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কেজরিওয়াল রক্তে শর্করার মাত্রা ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়াতে আম, আলু-পুরি এবং চিনি খাচ্ছেন এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন।
কেজরিওয়ালের আইনজীবী আদালতকে বলেছিলেন যে আম আদমি পার্টির আহ্বায়ক নবরাত্রির প্রসাদ হিসাবে একবার আলু-পুরি খেয়েছিলেন এবং তার চায়ে চিনির পরিবর্তে কৃত্রিম মিষ্টি ব্যবহার করেছিলেন। সিংভি বলেছিলেন যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিন পাওয়ার জন্য প্যারালাইসিসের ঝুঁকি নেবেন না। তিনি কেজরিওয়ালের পক্ষে বলেছিলেন, 'চায়ে শুধুমাত্র কৃত্রিম চিনির একটি ব্র্যান্ড ব্যবহার করেন কেজরিওয়াল। ইডির অভিযোগ কতটা তুচ্ছ এবং হাস্যকর ? সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাকে ইনসুলিন সরবরাহের বিষয়ে তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দেশ চেয়ে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট দাবি করেছে যে অরবিন্দ কেজরিওয়াল জামিনের জন্য বেশি করে আম, চিনি, আলুপুরি খাচ্ছেন যাতে তার শরীর অসুস্থতার অজুহাতে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন। ইডি দাবি করেছে যে জামিন পাওয়ার জন্যই তিনি তার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাচ্ছেন। এদিকে ইডির এই অভিযোগ প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল আদালতে বলেন, জামিন পেতে আমি কী প্যারালাইসিসের ঝুঁকি নেব? আমি যে খাবারই খাই তা আমার গ্রেফতারের আগে আমার চিকিৎসকের তৈরি ডায়েট চার্ট মেনেই খাই' ।
তিহার জেলে নিয়মিত চেক আপ এবং ইনসুলিন দেওয়ার দাবিতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি চলাকালীন তিহার জেলে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়টি আবারও আদালতের সামনে উঠে আসে। আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন যে 'জেলে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ৪৮ বার বাড়িতে তৈরি খাবার পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে মাত্র ৩ বার আম পাঠানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ৮ এপ্রিলের পর কেজরিওয়ালের জন্য আম পাঠানো হয়নি। ৪৮ বারের মধ্যে, নবরাত্রির খাবারের সময় শুধুমাত্র একবার পুরি দেওয়া হয়েছিল।