কর্ণাটকে কথিত দুর্নীতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির "নিরবতা" নিয়ে প্রশ্ন তুলে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রবিবার আসন্ন কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলোধোনা করেন। একই সঙ্গে তিনি মণিপুরে হিংসার ঘটনাতেও কেন্দ্রকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি বলেন, "মণিপুরের হিংসা বিজেপির ঘৃণার রাজনীতির পরিচয়'। রাজ্যে "৪০ শতাংশ কমিশন" নিয়েও এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি। লোকসভায় আদানি ইস্যু প্রশ্ন তোলার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর তাঁর সংসদপদ খারিজ করেন বলেও মারাত্মক অভিযোগ তোলেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর কাছে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে গান্ধী বলেন, “কর্নাটকে গত তিন বছর ধরে বিজেপির সরকার রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী রাজ্যের দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতন। তা সত্ত্বেও তিনি সেই নিয়ে নীরব। কর্ণাটকের ঠিকাদারদের সমিতিগুলি ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে দুর্নীতি কথা জানিয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের আবেদনে সাড়া দেননি বলেও সরব হন কংগ্রেস নেতা। রাহুল গান্ধী আরও বলেন,, "একজন বিধায়কের ছেলে নগদ 8 কোটি ঘুষ নিতে গিয়ে ধড়া পড়ে। তারপরও বিজেপি নেতৃত্ব নীরব কর্ণাটকে যে দুর্নীতি হয়েছে তা শিশুরাও জানে।"
রাহুল অভিযোগ করেন, “আমি দুর্নীতির প্রশ্ন তুলেছি বলেই আমার সংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি এদিন বিধায়ক কেনা-বেচারও অভিযোগ করেন। মণিপুরে হিংসার ঘটনার কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী বলেন, মণিপুর জ্বলছে । মানুষ খুন হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এ নিয়ে এতটুকুও চিন্তিত নন। কংগ্রেস নেতা বলেন, “মণিপুর হিংসা ঘৃণার রাজনীতির ফল। আমাদের 'ভারত জোড়া যাত্রা' ছিল এই বিদ্বেষের বিরুদ্ধে।'
এদিকে মণিপুর হিংসার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সোমবার বলেছেন, 'উত্তর-পূর্ব রাজ্যে কারফিউ বহাল থাকায় মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জনগণকে শান্তি বজায় রাখারও আহ্বান জানান। রবিবার, সেনাবাহিনী বলেছে হিংসা কবলিত এলাকায় ড্রোন এবং হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। আকাশপথে নজরদারিতে পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। কারফিউ শিথিল করার পরে সেনাবাহিনী এবং আসাম রাইফেলসের কর্মীরা রবিবার একাধিক শহরে ফ্ল্যাগ মার্চ করেছে। ২৩,০০০ এরও বেশি গৃহহীন মানুষ বর্তমানে সেনা ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে।