প্রয়াত দলীয় যুব নেতা মণীশ শুক্লার স্মৃতির উদ্দেশ্যে আজ পদযাত্রা করবে বিজেপি। বারাকপুর স্টেশন থেকে টিটাগড় পর্যন্ত যাবে সেই মিছিল। মোমবাতি হাতে মিছিলে থাকার কথা রয়েছে ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের। পাল্টা, মিছিল করবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলও। আগামী ১৩ তারিখ টিটাগড় থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত হবে জোড়া-ফুল শিবিরের শান্তি মিছিল। এ দুই মিছিলকে কেন্দ্র করেই আপাতত এলাকায় আশঙ্কার প্রমাদ গোনা শুরু হয়েছে।
বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় মণীশ শুক্লার খড়দার বাড়িতে গিয়ে পরিজনদের সহমর্মিতা জানান রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কথা বলেন মণীশের মা-বাবা ও স্ত্রীয়ের সঙ্গে। এ দিন দিলীপবাবুর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক এবং দলের সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্য।
গত রবিবার সন্ধ্যায় টিটাগড় থানার কাছে বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে খুন হন বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা। মোটরসাইকেল করে দুষ্কৃতীরা এসে মণীশকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়। এর পরই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়। একে অন্যের ঘাড়ে ধোষ চাপায় বিজেপি ও তৃণমূল। এই হত্যার তদন্তভার সিআইডি-কে দেয় রাজ্য সরকার। তদন্তে নেমে প্রথমে মহম্মদ খুররম খান, গুলাব শেখকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় নাসির শেখকে। শুক্রবার গ্রেফতার করা হয় আরও এক অভিযুক্ত সুবোধ যাদবকে। এই নিয়ে মণীশ খুনে গ্রেফতারির সংখ্যা বেড়ে হল চার।
উল্লেখ্য, নিহত বিজেপি নেতার বাবা চন্দ্রমণি শুক্লার দায়ে করা এফআইআরে টিটাগড়ের পুরপ্রধান প্রশান্ত চৌধুরী, ব্যারাকপুরের বিদায়ী পুরপ্রধান উত্তম দাস, মহম্মদ খুররম খান–সহ মোট ৭ জনের নাম রয়েছে। ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে শুল্কা পরিববার ও বিজেপি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন