/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/08/manmohan-singh1.jpg)
ইন্ডিয়া ইন্টান্যাশানাল সেন্টারে আয়োজিত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণ সভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী
গত ১৩ অগাস্ট পরলোক গমন করেছেন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তাঁর স্মরণসভায় প্রাক্তন প্রধানমনন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবের সময় কংগ্রেসের বিরোধিতা করতে যখন সিপিএম বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল তখন প্রাক্তন লোকসভা স্পিকারের ভূমিকার কারণেই তিনি সোমনাথবাবুকে মনে রাখবেন। তিনি আরও জানান, সেই সময়ে তাঁর লক্ষ্য ছিল সংবিধানকে রক্ষা করা এবং অধ্যক্ষ হিসাবে নিজের ভূমিকা পালন করা।
মনমোহন সিং বলেন, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁর দলের প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছেন ঠিকই কিন্তু এও প্রমাণ করেছেন যেকোন পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক মূল্য দলের থেকে বেশি। ইন্ডিয়া ইন্টান্যাশানাল সেন্টারে আয়োজিত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের স্মরণ সভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''লোকসভায় সভাপতিত্ব করা এই মানুষটা এরকমই ছিলেন''।
আরও পড়ুন, নৃপেন চক্রবর্তীকে মর্যাদা দিয়েছিল দল, কিন্তু লাল পতাকা অধরাই থাকল সোমনাথবাবুর
পিতা সুলভ ব্যক্তিত্ব, একজন কৃতী, ভারতের মহান পুত্র, একজন অভিজ্ঞ সাংসদ ও আইনজ্ঞ হিসাবে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে বর্ণনা করে মনমোহন বলেন, ''তাঁর স্মৃতি সংরক্ষিত ও নিরাপদে রাখা প্রয়োজন''। আর এটা করার শ্রেষ্ঠ উপায় হল, ''সংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করা''।
সভায় কথা বলতে গিয়ে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারিও স্পষ্টভআবে সংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে রক্ষার আবেদন জানান। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে কলকাতার মহান পুত্র ও শহরের বুদ্ধিজীবিদের সেরা সম্পদ অভিহিত করে হামিদ আনসারি বলেন, ''তিনি সংবিধান ও সাংবিধানিক মূল্যের প্রতি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন''।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেসের মুখপাত্র এস জয়পাল রেড্ডি বলেন, ''তিনি মহান সাংসদ ছিলেন। আমি তাঁকে তিন নম্বরে দেখি। প্রথম ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত (সিপিআই), দ্বিতীয় অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং তারপরে সোমনাথবাবু''। সিপিআইয়ের সাধারণ সম্পাজক এস সুধাকর রেড্ডি স্মৃতি রোমন্থনে জানালেন, সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন যখন তাঁকে সিপিআইএম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।