'মনমোহন সিং সংবেদনশীল প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি কৃষকদের সাহায্য করতেন, কিন্তু এখন'… মোদী সরকারকে ফের নিশানা এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের।
ফের মোদী সরকারকে ঝাঁঝালো আক্রমণ এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ারের। তিনি মনমোহন সরকারের প্রশংসা করে বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কৃষক আত্মহত্যার ঘটনার অমরাবতীতে গিয়েছিলেন সেই সময়ে তিনি ৭২ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ মওকুফ করেছিলেন।
এনসিপি সভাপতি শারদ পাওয়ার শনিবার বলেছেন যে 'আগের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কৃষকদের প্রতি অনেক বেশি সংবেদনশীল ছিলেন। কৃষকের আত্মহত্যার কথা জানতে পেরে তিনি নিজে ছুটে যান মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে। কিন্তু এখন তাদের সমস্যা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না'।
এপ্রসঙ্গে তিনি মনমোহন সরকারের স্মৃতি আওড়ে বলেন, “আমার মনে আছে যে কিছু কৃষক আত্মহত্যা করার পরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং অমরাবতী সফর করেছিলেন। তিনি জনগণের পাশাপাশি কৃষকদের প্রতি সংবেদনশীল ছিলেন। তিনি সেই সময়ে ৭২ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণও মওকুফ করেছিলেন, "। উল্লেখ্য মনমোহন মন্ত্রিসভায় কৃষিমন্ত্রী ছিলেন শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, এখন কৃষকরা যে অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তা কেউ দেখছেন না।
ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সভাপতি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পাওয়ার কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কড়া আক্রমণ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে শরদ পাওয়ার বলেন, কৃষকদের সামনে প্রশ্ন কিভাবে বাঁচবে। কৃষকরা অস্থির এবং কেন্দ্রীয় সরকার তাদের দিকে নজর দিচ্ছে না। কীভাবে দেশ চলবে সেই প্রশ্নও তুলেছেন পাওয়ার। শরদ পাওয়ার বলেছিলেন যে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং কৃষকদের প্রতি সংবেদনশীল ছিলেন এবং কিছু কৃষকের আত্মহত্যার কথা জানতে পেরে মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে গিয়েছিলেন, কিন্তু এখন কেউ কৃষকদের সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামায় না।
সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে সেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলেন, কৃষকদের সমস্যা উত্থাপনের জন্য এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে এবং অমল কোলহেকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ করেন। রাউত অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কোন ভাবেই জিততে পারবে না। জয়ের জন্য বিজেপি ইভিএমের ওপর নির্ভরশীল বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।