হাথরাসের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে 'বিধির বিধান' বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টায় যোগী সরকার ও উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। যাকে কেন্দ্র করে ফের সরব কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'লজ্জাজনক সত্যিটা হল যে অনেক ভারতীয়ই দলিত, মুসলিম ও আদিবাসীদের মানুষ বলে মনে করে না। মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ বলেছে তাঁদের জন্য কেউ ধর্ষিত হননি। সে (দলিত গণধর্ষিতা) কেউ নন!'
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন উল্লেখ করে রাহুলের প্রশ্ন, নাবালিকা যখন জীবিত অবস্থায় বলেছিলেন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাহলে পুলিশ তা অস্বীকার কেন করছে?
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে উচ্চবর্ণের চার ব্যক্তি ১৯ বছরের দলিত তরুণীর উপর পাশবিক অথ্যাচর চালিয়েছে বলে অভিযোগ। তরুণীর দেহে ক্ষতের চিহ্ন ছিল। পরে দিল্লির হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয় গোটা দেশ। সমালোচনায় বিদ্ধ করা হয় যোগী সরকারকে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে মৃতার পরিবারের অসম্মতিতে পুলিশ জোর করে দেহ পুড়িয়ে দিয়েছে। হাথরাস বিতর্ক এরপর অন্য মাত্রায় পৌঁছায়।
এই ঘটনার তদন্তের প্রবল চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত সিট গঠন করে রাজ্য সরকার।। পরে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। কিন্তু বিতর্ক এড়াতে পারছে না যোগী প্রশাসন। ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য ঘটনার ১১ দিন পর নেওয়া নমুনায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। তাই পুলিশের দাবি হাথরাসের বিষয়টি গণধর্ষণ নয়।
শনিবারই হাথরাসে দলিত তরুণীর গণধর্ষণ-মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন