মমতা-মোদী সাক্ষাৎ ঘিরে 'আঁতাঁতের' অভিযোগ তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। একই দাবি সিপিএমেরও। সারদা চিটফান্ড মামলায় বেকায়দায় রাজীব কুমার। আইনি লড়াইতেও কার্যত কোণঠাসা তিনি। এতেই কাঁপুনি বেড়েছে জোড়াফুল শিবিরের। তাই তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার তাগিদ দেখিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মনে করছে কংগ্রেস ও বামেরা।
মমতা-মোদী বৈঠক নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, 'আমরা অনেকদিন ধরেই বলছি বাংলায় তৃণমূল ও বিজেপি ম্যাচ ফিক্সিং চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দেখা করার একমাত্র কারণ যাতে বাংলায় সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তের গতি শ্লথ করা যায়।'
আরও পড়ুন: রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আর্জি ফেরাল বারাসত আদালত, আজ নজরে আলিপুর কোর্ট
'রাজীব কুমার সারদা কেলেঙ্কারির অনেক কিছু জানেন। তিনি মুখ খুললেই অনেক তৃণমূল নেতার কপালেই দুঃখ রয়েছে। সমস্যায় পড়বে শাসক দল ও সরকার। মুখ্যমন্ত্রী এটা ভাল করেই বুঝতে পারছেন। রাজীব কুমার বিপদে পড়তেই তাঁকে বাঁচাতে তাই দেরি না করেই দিল্লি চলে গেলেন তিনি। মানুষ সব বোঝে।' দাবি সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর।
আরও পড়ুন: আমি বিদেশি নই, ফারুক আবদুল্লা জঙ্গি নন: তারিগামি
গত সোমবার এই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বুধবারের বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আসে। তারপরই রাজ্যের শাসক দলকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতৃত্ব। সারদা মামলায় তদন্তের জাল গোটাতে তৎপর সিবিআই। ডাক পড়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর। মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজীব কুমারেও খোঁজ নেই। অবস্থা শোচনীয়। বুঝতে পেরেই মোদীর শরণাপন্ন হয়েছেন মমতা। দাবি করেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা।
মোদী-মমতা বৈঠক ঘিরে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিরও সমালোচনা করছে বাম কংগ্রেস। তারা মনে করছে, কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসক দলকে একসারিতে আক্রমণ করা গেলে রাজনৈতিক ফায়দা আদায় সম্ভব। যা ঠেকাতে তৎপর মুরলীধর সেন লেনের নেতৃত্ব। তাই চড়া সুরেই এদিনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতার বৈঠকের বিরোধীতায় রাজ্য বিজেপি নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর আর্জিতেই যে এই বৈঠক হবে তা তুলে ধরতে চাইছেন দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদারেরা।
Read the full story in English