সিবিআই-এর নজরে অখিলেশ, পাশে রইলেন মায়াবতী-কেজরিওয়াল

অখিলশকে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "স্বৈরাচারী এবং  অগণতান্ত্রিক এক শাসকের শাসন এবার শেষ হওয়া দরকার"।

অখিলশকে সিবিআই-এর জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, "স্বৈরাচারী এবং  অগণতান্ত্রিক এক শাসকের শাসন এবার শেষ হওয়া দরকার"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শনিবার উত্তর প্রদেশ ও দিল্লির মোট ১৪ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদব ও তাঁর প্রাক্তন ক্যাবিনেট সতীর্থ গায়ত্রী প্রজাপতিকে অবৈধ বালি খাদান মামলায় তাঁদের ভূমিকা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। এই খবর ছড়াতেই বিরোধীরা এসে পাশে দাঁড়িয়েছেন অখিলেশেরই। আম আদমি পার্টি সহ একাধিক বিজেপি বিরোধী দলের বক্তব্য, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত আসলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।

Advertisment

বিএসপি প্রধান মায়াবতী জানিয়েছেন এসপি-বিএসপি জোটকে নড়বড়ে করে দিতেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।

এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশে মূলত উত্তর প্রদেশের হামিরপুর অঞ্চলে ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অবৈধ বালি খাদান সংক্রান্ত এই মামলাটি অধিগ্রহণ করে দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা। উল্লেখ্য, অখিলেশ এবং প্রজাপতি দুজনেই পর্যায়ক্রমে ২০১২-১৬ সালের মধ্যে খনিজ সম্পদ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন।

Advertisment

শনিবারের দিনভর মামলা সংক্রান্ত তল্লাশি চলে একাধিক উচ্চপদস্থ রাজনৈতিক নেতা ও সরকারি আধিকারিকের বাড়িতে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রমেশ কুমার মিশ্র এবং বহুজন সমাজ পার্টির নেতা সঞ্জয় দীক্ষিত। এছাড়াও রেড হয় তৎকালীন হামিরপুরের জেলাশাসক বি চন্দ্রকলার বাসস্থানে। ইনি সেই বিখ্যাত আইএএস অফিসার বি চন্দ্রকলা, যাঁর বিভিন্ন দুর্নীতি দমন অভিযান তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভূত জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।

সমাজবাদী পার্টি নেতা রাম গোপাল যাদব বলেছেন, বিজেপি উত্তরপ্রদেশে পা রাখার জায়গা পাবে না। তিনি সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন , "উত্তরপ্রদেশে কোনো মন্ত্রী যদি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন অখিলেশের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হবে, তা থেকে কী সিদ্ধান্তে আসা যাবে? বিজেপি উত্তরপ্রদেশে পা-ই রাখতে পারবে না। বারানসি ছেড়ে মোদীকে অন্য কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে হবে"।

Read the full story in English