উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে মহাগটবন্ধনে পাকাপাকিভাবে ইতি টানলেন বহুজন সমাজ পার্টির (বিএসপি) নেত্রী মায়াবতী। উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনগুলিতে বিএসপি এককভাবেই লড়াই করবে।
মায়াবতী টুইটারে লিখেছেন- 'সমাজবাদী পার্টি সরকারে থাকার সময় অসংখ্য দলিত বিরোধী কাজ করেছে। তা সত্ত্বেও আমরা অতীত ভুলে মহাগটবন্ধনে শামিল হয়েছিলাম। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর সমাজবাদী পার্টি নেতৃত্বের ব্যবহার আমাদের অন্যভাবে ভাবতে বাধ্য করছে। আদৌ বিজেপি-কে পরাজিত করা সম্ভব হবে কিনা, তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। এই পরিস্থিতিতে দল এবং আন্দোলনের স্বার্থে আসন্ন নির্বাচনগুলিতে বিএসপি একাই লড়াই করবে।'
রবিবার লখনৌতে বিএসপি-র একটি সর্বভারতীয় বৈঠক হয়। গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যের নেতৃত্বের সঙ্গেও বৈঠক করেন শীর্ষ বিএসপি নেতারা। তারপরই একলা চলার ঘোষণা করেন মায়াবতী। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের বিপর্যয়ের পর চলতি মাসের শুরুতে মায়াবতী আসন্ন নির্বাচনগুলিতে একক ভাবে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও জোট সম্ভাবনার দরজা খোলা রেখেছিলেন।
উত্তরপ্রদেশের রাজ্য রাজনীতির দীর্ঘ কয়েক দশকের যুযুধান সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপি প্রথম নির্বাচনী জোট গড়ে তোলে ২০১৮ সালের শুরুতে। সপা-বসপা জোট গোরখপুর, ফুলপুর এবং কৈরানার উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থীদের পরাজিতও করে। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই দল লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে মহাগটবন্ধন গড়ে তোলে। প্রায় আড়াই দশকের তিক্ত রাজনৈতিক লড়াই-এর পর সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোট করার ঘটনাকে মায়াবতী সেই সময় '২০১৯ সালের রাজনৈতিক ক্রান্তি' বলে চিহ্নিত করেছিলেন।
গো-বলয়ের রাজ্যটিতে কিছুদিনের মধ্যেই ১১টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হবে। কারণ, সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-র ৮ জন এবং আপনা দল (এস), সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপি-র একজন করে বিধায়ক সাংসদ হয়েছেন।