জোটে আপত্তি নেই, তবে যথেষ্ট আসন না পেলে একাই লড়বেন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে, জানালেন বিএসপি প্রধান মায়াবতী। রবিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, "আমাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট, আমরা যথেষ্ট আসন পেলে তবেই জোট বাঁধতে রাজি, নয়তো একাই লড়ব আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে"।
দিন কয়েক আগে ভীম সেনা প্রধান চন্দ্রশেখর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিকদের মায়াবতী প্রসঙ্গে বলেছিলেন, "উনি আমার পিসি হন, আমাদের দুজনের শরীরেই এক রক্ত বইছে। ওঁর বিরুদ্ধে কিছু বলাটা আমার মূল্যবোধের মধ্যে পড়ে না। পিসির সঙ্গে আমার কোনও সমস্যাই নেই, ওঁর থাকতে পারে। আমাদের দুজনেই আসলে বিজেপির বিরোধিতা করছি"।
সেই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে মায়াবতী বলেন, "কয়েক বছর ধরে লক্ষ করছি কেউ কেউ রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে। যে মানুষটা সাহারানপুরের গ্রামে দলিতদের ওপর নৃশংস অত্যাচার করেছিল, সে এখন জেল থেকে বেরিয়ে আমার সাথে আত্মীয়তা দেখাচ্ছে! আমার শুভাকাঙ্ক্ষী হলে এরা আলাদা ছাতার তলায় রাজনীতি করত না। সাধারণ মানুষকে আমি এটা বলে দিতে চাই, কারো সঙ্গে আমার কোনও আত্মীয়তা নেই। আমি শুধু কোটি কোটি দলিত আর আদিবাসী মানুষের সাথে আত্মীয়তা অনুভব করি"।
আরও পড়ুন, নরেন্দ্র মোদীর অগোচরে পালাতে পারত না মালিয়া: রাহুল গান্ধী
সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির বিমুদ্রাকরণের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন মায়াবতী। তাঁর সমালোচনায় উঠে আসে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার প্রসঙ্গও। নাম না করে বিজয় মালিয়া প্রসঙ্গে মায়াবতী বললেন, "দুর্নীতিগ্রস্ত শিল্পপতিদের বিশাল ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া থেকে শুরু করে, তাঁদের বিদেশে পালাতে সাহায্য করার পেছনে কংগ্রেস এবং বিজেপি, দুই দলেরই ভূমিকা রয়েছে"
'দলিত' শব্দ নিষিদ্ধ করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত নিয়েও মুখ খলেন মায়াবতী। বলেন, "সংবিধান অনুযায়ী আমার দেশের নাম ভারত। বিজেপি আরএসএসের তো একে হিন্দুস্থান বলতে অসুবিধে হয় না। তেমনি সমাজের দুর্বলতম শ্রেণিকে তফশিলি জাতি হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও আমরা দলিত বললে কারোর কোনও অসুবিধে হওয়ার কথা না"।