অখিলেশ যাদব নন, ইনি উত্তরপ্রদেশের আরেক ‘বাবুয়া’। বসপা সুপ্রিমো মায়াবতীর জন্মদিনে ফ্রেমবন্দী হিয়েছিলেন বছর আঠাশের এক তরুণ তুর্কি। নীল রঙা স্যুট, ডিজাইনার ফুটওয়ার পরে মায়াবতীর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ওই যুবককে দেখামাত্রই সকলের চোখে-মুখে একটাই প্রশ্ন খেলে, ‘ইনি কে?’ সেই যুবক আদতে মায়াবতীর ভাইপো আকাশ আনন্দ। যা জানার পরই রাজনৈতিক মহলে নয়া জল্পনা ছড়ায়। তবে কি আগামী দিনে মায়াবতীর উত্তরসূরী হচ্ছেন আকাশই? সে প্রশ্নেরই এবার মোক্ষম জবাব দিলেন স্বয়ং ‘বুয়া’। দলে যোগ দিচ্ছেন আকাশ, তাঁকে কাজ শেখানো হবে, বৃহস্পতিবার এমন কথাই ঘোষণা করেছেন বসপা নেত্রী।
এদিন মায়াবতী বলেন, তাঁর ভাইপো আকাশ আনন্দ বসপা-তে যোগ দেবেন। ভাইপোর দলে যোগদান প্রসঙ্গে বসপা সুপ্রিমো জানিয়েছেন, ওকে কাজ শেখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে এটা। সপার সঙ্গে জোট বাঁধার পর অনেক রাজনৈতিক দলের নেতাদেরই মাথাব্যথার কারণ বসপা, একথাও এদিন বলেন মায়াবতী। অন্যদিকে, তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আকাশের উপস্থিতি নিয়ে যেভাবে চারদিকে বলা হচ্ছে যে, ভাইপোই তাঁর উত্তরসূরী, সে প্রসঙ্গে মায়াবতীর জবাব, ‘‘এটা সংবাদমাধ্যম করেছে।’’ এ প্রসঙ্গে আকাশের ‘বুয়া’ আরও বলেছেন, ‘‘এসব বসপা বিরোধী চক্রান্ত।’’
আরও পড়ুন, উনিশে বিজেপিকে রুখতে ২৪ বছর পর আবারও একসঙ্গে সপা-বসপা
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মিরাটে একটি সভায় ভাই আনন্দ ও ভাইপো আকাশের সঙ্গে দলীয় কর্মীদের আলাপ করিয়েছিলেন মায়াবতী। সেসময়ই প্রথমবার একসঙ্গে রাজনৈতিক মঞ্চে মায়াবতীর ভাই ও ভাইপোকে দেখা গিয়েছিল। ওই বছরের মে মাসে ঠাকুর-দলিত সংঘর্ষের পর শাহরানপুর সফরে মায়াবতীর সফরসঙ্গী ছিলেন আকাশ। এ প্রসঙ্গে, কয়েকজন বসপা নেতা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, ‘‘সেসময় আমাদের সঙ্গে আকাশের আলাপ করিয়েছিলেন মায়াবতী। উনি বলেছিলেন, ও আকাশ, লন্ডন থেকে এমবিএ নিয়ে পড়াশোনা করেছে। এখন থেকে দলের কাজ দেখবে।’’
লন্ডনে এমবিএ পড়ার আগে দিল্লি থেকে স্কুলের পাঠ শেষ করেছেন আকাশ। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, মায়াবতী যখন দিল্লি যান, তখন তাঁর সঙ্গেই থাকেন আকাশ। মায়াবতী বলেছেন, আনন্দ কুমার ও তাঁর পরিবার ২০০৩ সাল থেকে নিঃস্বার্থভাবে তাঁকে ও বসপাকে সমর্থন করে আসছে কিন্তু কখনও দলীয় পদের দাবি করেননি।
Read the full story in English