রত্না দেবীর দাবি, মেয়ে সুহানী স্কুল থেকে জার্মানী যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ১৮ জন পড়ুয়া ইন্টাররিলেশনশিপ প্রোগ্রামে যাবার জন্য় ভিসা ও অন্য়ান্য় নথিপত্রে শোভনবাবুর সই প্রয়োজনীয়, কিন্তু তিনি তা করতে রাজি হননি।
গভীররাতে মেয়ের ভিসা ও নথিপত্রে সই করাতে গিয়ে ধর্ণায় বসলেন মেয়রপত্নী। নাছোড়বান্দা মেয়র কোথাও সই করলেন না। তারপর মেয়রের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফার্স্ট লেডি গ্রেফতার হলে ও থানায় অবিলম্বে জামিনও মিলল।
Advertisment
এর আগেও বহুবার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্য়ায় ও তাঁর স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ের বিষয় নিয়ে পুলিশকে বিব্রত হতে হয়েছে। আপাতত আলিপুর আদালতে চলছে চট্টোপাধ্য়ায় দম্পতির মধ্য়ে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। তা স্বত্বেও তাঁদের সম্পর্কের টানাপোড়েন ক্রমশ ঘটনাবহুল হয়ে উঠছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা ৪৫ মিনিট।শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের দক্ষিণ কলকাতার গোলপাার্কের ফোর্ট লেজেন্ড সাউদার্ন এভিনিউ আবাসনের গেটে আচমকা ধর্ণায় বসেন মেয়রপত্নী শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। রত্না দেবীর দাবি, মেয়ে সুহানী স্কুল থেকে জার্মানী যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। ১৮ জন পড়ুয়া ইন্টাররিলেশনশিপ প্রোগ্রামে যাবার জন্য় ভিসা ও অন্য়ান্য় নথিপত্রে প্রয়োজন শোভনবাবুর স্বাক্ষরের। কিন্তু শোভনবাবু সই করতে রাজি নন। রত্নাদেবীর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন সমর্থকও। পর্ণশ্রী থানা ও রবীন্দ্রসরোবর থানার আধিকারিকরা রত্নাদেবীর বক্তব্য় শুনে শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে কথাবার্তা বললেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। তারপর আবাসনের সামনেই হত্য়ে দিয়ে বসে থাকেন কলকাতার ফার্স্ট লেডি। শোভনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে রত্নাদেবীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনও মেলে। অন্য় দিকে শোভনের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছেন রত্না।