ভারতে সংবাদমাধ্যম, রাষ্ট্র ক্ষমতা এবং রাজনৈতিক দল, এই তিন বিন্দুর সম্পর্ক বরাবর চর্চার বিষয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে চিন্তিত রাজনৈতিক দলগুলি। এরই মধ্যে বুধবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে বাংলায় মিডিয়া পর্যবক্ষেক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিডিয়া কোন দলের নিয়ন্ত্রণে থাকছে তা নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ শুরু হয়েছে। মজার বিষয়, সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া থেকে সভা-সমাবেশে উস্কানিমূলক মন্তব্য করা রাজনীতির কারবারিদের একাংশের সহজাত প্রবৃত্তি। এ বিষয়ে খবর করা হলে, তাঁরা এই সময় নীরব থাকেন এবং বহুক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংবাদমাধ্যমের রাজনৈতিক রঙ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এবার ভোট আসতেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে বিচলিত হয়ে পড়েছে তৃণমূল ও বিজেপি। একে অপরের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের অভিযোগ করছে।
আরও পড়ুন: Lok Sabha Election 2019: বাংলাকে ‘অতিস্পর্শকাতর’ রাজ্য হিসেবে ঘোষণার দাবি বিজেপির
প্রার্থী তালিকা প্রকাশের সময় সোমবার কালীঘাটে নিজের বাসভবনের সভাঘরে জাতীয় স্তরের সংবাদ মাধ্যমে বিজেপি হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, দিল্লিতে মোদীর বিরুদ্ধে খবর করলে চাকরি চলে যায়। টেলিভিশন চ্যানেলগুলিকে আয়ত্তে নিয়ে এসেছে বিজেপি। এর আগেও একাধিকবার তিনি অভিযোগ করেছেন, মিডিয়ার কন্ঠরোধ করছে পদ্মশিবির।
লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন
এদিকে বুধবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মিডিয়া অবজার্ভার পাঠানোর দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা তথা রবিশঙ্কর প্রসাদের দাবি, বাংলায় মিডিয়ার কোনও স্বাধীনতা নেই। তাই সেখানে মিডিয়া পর্যবেক্ষক পাঠাতে হবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গকে 'অতিস্পর্শকাতর' ঘোষণার সঙ্গে মিডিয়া সংক্রান্ত এই দাবিও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
দিল্লিতে রবিশঙ্করের এমন দাবির পর রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ন্যাশনাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করছে বিজেপি, কিন্তু বাংলার মিডিয়া নিজের মতো কাজ করছে। প্রেস ক্লাব থেকে বিজেপির এই দাবির প্রতিবাদ করা উচিত। বাংলার সাংবাদিকদের ভয় দেখানো হয়েছে।"