বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছে বিজেপি কাউন্সিলরের গুলিবিদ্ধ দেহ। পুলিশ জানিয়েছে মৃত নেতার নাম মণীশ চৌধুরী। ৩৮ বছর বয়সি নেতাকে খুন করা হয়েছে না আত্মহত্যা সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানিয়েছে যে এই ঘটনা আত্মহত্যা। তবে পরিবারের তরফে এটি হত্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কাঁকরখেদা থানার পুলিশ ইন চার্জ তপেশ্বর সাগর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, "প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে দেশীয় পিস্তল দিয়ে গুলি করে নেতা আত্মহত্যা করেছেন। আমরা অস্ত্রটি উদ্ধার করেছি। যদিও পরিবারের তরফে বলা হয়েছে যে কাউন্সিলরকে হতায় করা হয়েছে।"
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে মণীশ চৌধুরী ও তার স্ত্রী ও অন্যান্য আত্মীয়দের কাছে ভয়েস মেসেজ পাঠিয়েছিলেন যে তিনি আর কোনও চাপের মুখোমুখি হতে পারেন না। তাই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুলিশ সুপারের কথায়, “স্থানীয় বাসিন্দারা তার গাড়ির ভিতরে দেহটি মেওলা রেলপথ ক্রসিংয়ের কাছে দেখতে পেয়ে তত্ক্ষণাত আমাদের জানায়। আমরা গাড়িটি চলন্ত অবস্থায় পেয়েছি। যখন দেশীয় পিস্তলটি পায়ের বিশ্রামের পাশে পড়ে ছিল। তাঁর মাথায় গুলি লেগেছে। আমরা তাঁকে তার শংসাপত্রগুলি সনাক্ত করে তার পরিবারের সদস্যদের অবহিত করেছি। "
২০১৮-এর ২০ অক্টোবর দিল্লি-দেরাদুন ন্যাশনাল হাইওয়ের একটি রেস্তোরাঁয় সুখপাল পানওয়ারকে থাপ্পড় মারা এবং আইনজীবী দীপ্তি চৌধুরীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার পরে শিরোনামে এসেছিলেন এই কাউন্সিলর। বিজেপি বিধায়ক সত্য প্রকাশ আগরওয়ালের ঘনিষ্ঠ নেতাকে জেলেও পাঠানো হয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন