পঞ্চমীতে প্রকাশ্যে এসেছেন বিমল গুরুং। খোলাখুলি তৃণমূলের সঙ্গে জোটের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। এরপরই পাহাড়ে গুরুংয়ের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল হচ্ছে। তার মাঝেই মোর্চার বিনয় তামাং ও জিটিএ প্রধানকে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী। ২১শের ভোটের আগে পাহাড় রাজনীতির সমীকরণ কী হতে চলেছে? বিমলকে রুখতে প্রশাসনের উপর কতটা চাপ দিতে পারবেন তামাংরা? তার আভাস পেতেই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিনয় তামাংদের বৈঠক ছিল তাৎপর্যবাহী। তবে, দীর্ঘ এক ঘন্টার বৈঠক শেষ বিনয় তামাং জানিয়েছেন, এ দিনের আলোচনা 'অত্যন্ত সদর্থক' হয়েছে।
এর আগে সোমবারই বিনয় তামাং বলেছিলেন যে, 'পাহাড়ের রাজনীতিতে আর বিমল গুরুংয়ের কোনও জায়গা নেই। তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক মঞ্চ ভাগাভাগিরও প্রশ্ন নেই।' মঙ্গলবার সকালে তামাং বলেছিলেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আমাদের একটা জোট রয়েছে। আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। পাহাড়ের উন্নয়ন এবং শান্তিই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন দক্ষ রাজনীতিবিদ। তাঁর উপর আমাদের আস্থা, ভরসা আছে।' এদিনের বৈঠক শেষেও সেই সুরই ধরা পড়ল বিনয় তামাংয়ের গলায়।
কলকাতায় বৈঠক চললেও গুরুংয়ের ফিরে আসাকে কেন্দ্র করে উত্তাপ রয়েছে দার্জিলিং সহ গোটা পাহাড়েই। মঙ্গলবারও পাহাড় জুড়ে বিমল বিরোধী বিশাল মিছিল হয়েছে। অন্যদিকে মিরিখে মিছিল করেছেন গুরুংপন্থীরা। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়কে শান্ত রাখাই এখন রাজ্য সরকারের কাছে অন্যতম চ্যালেঞ্জ। তড়িঘড়ি বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক যা স্পষ্ট করেছে।
বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে ১৫ টিরও বেশি মামলা রয়েছে পুলিশের খাতায় সে পলাতক অভিযুক্ত। তিন বছর আগে পাহাড়ে আশান্তির জন্য তাঁকেই দায়ী করেছিল রাজ্য সরকার। তাই গুরুংয়ের কলকাতায় ফিরে আসা ও তাঁকে ধরতে প্রসানের গা ছাড়া মনোভাবকে আগেই কটাক্ষ করেছেন বিরোধিরা। মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি মুকুল রায় বলেছেন, 'পাহাড়কে অশান্ত করার জন্য দায়ী মমতা সরকার। এখন আবার অহেতুকভাবে অশান্তিকে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন