/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/03/Untitled-design-2021-03-29T193307.167.jpg)
পিডিপি নেত্রী মেহেবুবা মুফতি।
ফের গৃহবন্দি মেহেবুবাব মুফতি। মঙ্গলবার টুইটে এমনটাই দাবি করেছেন পিডিপি নেত্রী তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন এই মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, কেন্দ্রের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন, কাশ্মীরে সব কিছু স্বাভাবিক কেন্দ্রের এই দাবি ফের মিথ্যা বলে প্রমাণিত হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
টুইটে মেহেবুবাব মুফতি লিখেছেন যে, "ভারত সরকার আফগানিস্তানের বাসিন্দাদের অধিকার নিয়ে চিন্তা করছে। কিন্তু, কাশ্মীরিদের অধিকারের বিষয়টি ইচ্চাকৃতভাবে অস্বীকার করছে। আমাকে আজ গৃহবন্দি করে রাখা হল। কাশ্মীরে সব কিছু স্বাভাবিক, কেন্দ্রের এই দাবি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হচ্ছে।"
GOI expresses concern for the rights of Afghan people but wilfully denies the same to Kashmiris. Ive been placed under house arrest today because according to admin the situation is far from normal in Kashmir. This exposes their fake claims of normalcy. pic.twitter.com/m6sR9vEj3S
— Mehbooba Mufti (@MehboobaMufti) September 7, 2021
সদ্য প্রয়াত হয়েছেন জম্মু-কাশ্মীর ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানি। বর্ষীয়ান এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার প্রয়াণের পর পরই উপত্যাকাজুড়ে নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানির পরিবারকে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে দেওয়া হয়নি, যার বিরুদ্ধে সরব হন মেহেবুবা। সরকারের তীব্র বিরোধিতা করতে শোনা যায় তাঁকে। যার পরই পিডিপি নেত্রীর গৃহবন্দির দাবি কাশ্মীরি রাজনীতিতে বেশ তাৎপর্যবাহী।
আরও পড়ুন-‘হিন্দু-মুসলিমদের পূর্বপুরুষ ভারতে একই’, বললেন মোহন ভগবত
এপ্রসঙ্গে গত রবিবার টুইটে মেহেবুবা কেন্দ্রকে নিশানা করে মুফতি লিখেছিলেন, ''একজন ব্যক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন করা একটি পরিবারের অধিকার। কিন্তু, এখানে সরকার গিলানির পরিবারকে শেষকৃত্য পর্যন্ত সম্পন্ন করতে দিল না। উল্টে তার পরিবারের সদস্য, বিশেষত মহিলাদের উপর আঘাত নামিয়ে আনা হল। এই ঘটনা ভারতের সংস্কৃতি বিরুদ্ধ। ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কদর গোটা বিশ্বে রয়েছে। গণতন্ত্রে সকলের মত প্রকাশের অধিকার আছে।''
২রা সেপ্টেম্বর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিডিপি নেত্রী মেহেবুবাব মুফতি জানিয়েছিলেন, দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বদল বৈঠকের পর উপত্যাকার রাজনীতিতে বা পরিস্থিতিতে কোনও বদল ঘটেনি। সব নেতা, নেত্রীদের একসঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা যাওয়া ছাড়া কিছুই হয়নি। তাঁর কথায়, "কাশ্মীরের মানুষের আস্থাবর্ধক হিসাবে আমি জেলবন্দি কয়েকজন মানুষকে ছাড়ার দাবি করেছিলাম। কিন্তু তা হয়নি। প্রকৃত অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি।"
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন