New Update
Advertisment
তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর একটা দিন কাটতে চললেও মুখ খোলেননি প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তারই মধ্যে বৈঠকের খবর ও তাঁর মেসেজের বার্তা প্রকাশ্যে চলে আসে। কীভাবে মেসেজ প্রকাশ্যে চলে এল তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শুভেন্দু অনুগামীরা। দাদার অনুগামীদের বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে রীতিমতো ঝড় উঠৈছে। তাঁদের দাবি, দাদা কিছুতেই ওই মেসেজ প্রকাশ্যে আনেননি। মোদ্দা কথা ফের অবিশ্বাসের বাতাবরণ স্পষ্ট।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তিন সাংসদ ও ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের বৈঠকের খবর গতকালই জানিয়েছিলেন সৌগত রায়। তিনি নিজে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। তার স্পষ্ট কথা ছিল, আলোচনার মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যে জটিলতা ছিল তা কেটে গিয়েছে। শুভেন্দু সাংবাদিক বৈঠক করে পরে জানিয়ে দেবে। শুভেন্দু ওই বৈঠক নিয়ে টু শব্দ করেননি। এরপরে আজ, বুধবার শুভেন্দু অধিকারীর হোয়াটসঅ্যাপের মেসেজ ফাঁস হয়ে যায়। এই তথ্য বেরিয়ে আসাকে কেন্দ্র করেই এখন রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। গেরুয়া শিবির পুরো বিষয়টির ওপর নজর রাখছে।
শুভেন্দু অনুগামীরা তাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লিখেছেন দাদা যদি ফাঁস করে না থাকে, কে ফাঁস করলেন? কার ইসারায় ফাঁস হল মেসেজ? এই প্রশ্ন তুলছেন দাদার অনুগামীরা। অর্থাৎ ফের দাদার অনুগামীরা নিজেদের অবস্থানেই ফিরে যেতে চাইছেন। তাঁদের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী যদি একজনকে মেসেজ করে থাকেন তাহলে গোটা বিষয়টা শুভেন্দু ও ওই ব্যক্তি জানবেন। এই দুজনের বাইরে কারও জানার কথা নয়। একমাত্র তখনই সম্ভব তৃতীয় কাউকে যদি এই বিষয়টি জানানো হয়। অনুগামীদের প্রশ্ন, এই মেসেজ ফাঁস করার উদ্দেশ্য কী?
মেসেজ বাইরে বেরোনোর দায় কেউ নেননি। এটাই স্বাভাবিক। তবে শুভেন্দু অধিকারীর অরাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাহলে কী দলের সঙ্গে শুভেন্দুর জট কাটেনি? নাকি বিরোধীদের ধোকা দিতে অন্য কোনও পরিকল্পনা আছে? বাংলায় নির্বাচনের ঘণ্টা কিন্তু বেজে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে মুশকিলে পড়বেন দু'পক্ষই৷
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন