যৌন হেনস্থার অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় সোমবার কংগ্রেস ছাত্র শাখার প্রধান ফিরোজ খানের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করেছেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসর একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কংগ্রেস। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করলেও, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হতে দেবেন না বলে পদত্যাগ করলেন বলে দাবি করেছেন ফিরোজ খান।
#MeToo আন্দোলনে সামিল হয়ে ন্যাশানল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন-এর সভাপতি তথা জম্মু-কাশ্মীরের যুবক ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেন ছত্তিশগড় কংগ্রেসের এক মহিলা কর্মী। তাঁর অভিযোগ, ফিরোজ তাঁর বোনের সঙ্গেও অভব্য আচরণ করেছে। এছাড়া দলের একাধিক মহিলা সদস্যও তাঁর হাতে হেনস্থার শিকার। চলতি বছরের জুন মাসে ফিরোজের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ জানান তিনি। এরপর রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেসের বেশ কয়েকজন প্রবীণ নেতার সঙ্গে দেখা করে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন ওই তরুণী। পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় ফিরোজের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের কেরেছেন ছত্তিশগড়ের ওই তরুণী।
আরও পড়ুন- #MeToo মামলা করে চুপ করাতে চাইছেন আকবর, লড়াই জারি থাকবে: প্রিয়া রামানি
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম.জে. আকবরের বিরুদ্ধে #MeToo আন্দোলন নিয়ে সরব গোটা দেশ। মোদী সরকারের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সাংবাদিক প্রিয়া রামানি-সহ ১০ মহিলা মুখ খুলেছেন। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেছে। কংগ্রেসের মুখপাত্র আর.পি.এন. সিং বলেন, “অতীতে আমরা দেখেছি উত্তরপ্রদেশের এক বিধায়ক তারই কেন্দ্রের একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে এবং যোগী আদিত্যনাথ তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও তাঁর দলের সেই বিধায়ককে বরখাস্ত করেননি এবং এ বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। বিহারের হোমের ক্ষেত্রেও একইভাবে নিশ্চুপ ছিলেন তিনি (মোদী)। তাই এবার তাঁকে অবস্থান স্পষ্ট করতেই হবে”। আর ঠিক এই সময় যৌন হেনস্থার অভিযোগে কংগ্রেস ছাত্র শাখার সর্বোচ্চ পদাধিকারীর এমনভাবে পদত্যাগ ও তা গ্রহণ রাজনৈতিকবাবে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Read this story in English