প্রয়াগরাজে গ্যাংস্টার-রাজনীতিবিদ আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আততায়ীরা হত্যা করার একদিন পর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রবিবার মিডিয়া কর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তার জন্য বিশদ নির্দেশিকা এবং আদর্শ আচরণবিধি (এসওপি) জারি করার সিদ্ধান্ত নিল। কোনও স্পট বা সংবাদ সম্মেলন কভার করার সময় এই নির্দেশিকা ও আদর্শ আচরণবিধি মানতে হবে সাংবাদিকদের।
শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আতিক আহমেদ ও তার ভাই আশরফকে হত্যার ঘটনাটি সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় সম্প্রচারিত হয়। ঘটনার সময় ওই দুই ভাই সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। ১৩ এপ্রিল থেকে তারা পুলিশি হেফাজতে ছিলেন। তাদের হেফাজতের মেয়াদ রবিবার বিকেল ৫টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল।
দুই আততায়ী এবং তাদের একজন সহযোগী নিহত আহমেদ ভাইদের দিকে আধা-স্বয়ংক্রিয় পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এরপরই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পুলিশ জানিয়েছে যে ওই দুষ্কৃতীরা একটি মোটরসাইকেলে চেপে এসেছিল। গুলি চালানোর পরে, তাদের থেকে এনসিআর নিউজ লেখা একটি মাইক এবং একটি ক্যামেরা উদ্ধার হয়েছে।
আগামী দিনে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে নির্দেশিকা এবং এসওপি জারি করা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনটাই বিশেষ এক সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করবে। আর, সাংবাদিকদের জন্য আদর্শ আচরণবিধি তৈরি করবে। তাদের কভারেজের সময় কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলবে। এমনটাই সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন- আতিক আহমেদ ও তার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
টেলিভিশনের ছবিতে উঠে এসেছে, আতিক আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় দুই দুষ্কৃতী দুটো আগ্নেয়াস্ত্র বের করে। আর, আহমেদ ভাইদের ওপর গুলি চালায়। হাসপাতালের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আহমেদ ভাইরা। পুলিশ আততায়ীদের পরিচয় প্রকাশ করেছে। সংবাদমাধ্যমগুলোও ধৃত তিন আততায়ীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছে। তবে, কেন তারা আতিক আহমেদকে হত্যা করল, তা এখনও পুলিশ জানাতে পারেনি। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, যোগী সরকারই পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। যদিও সেই সব অভিযোগ স্বীকার না-করে ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।