'মহুয়া মৈত্রের বিষয়টা দল বুঝবে’, অভিযোগকে গুরুত্বই দিলেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়

"ওঁর ব্যাপার ওঁর ফেসবুকে দিয়েছে। আমার যেমন ফেসবুক নেই। ফেসবুক পড়িও না।"

"ওঁর ব্যাপার ওঁর ফেসবুকে দিয়েছে। আমার যেমন ফেসবুক নেই। ফেসবুক পড়িও না।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
subrata mukherjee, mohua moitra

কৃষ্ণনগরের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খোদ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। এরপরই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসে চাপান-উতর শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, দলীয় এক সাংসদ কেন প্রকাশ্যে এভাবে ভিডিও বার্তা দিলেন তা নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও অনেকে নালিশ করেছেন। তবে যে পঞ্চায়েত বিভাগকে নিয়ে তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার যাবতীয় মন্তব্য তা নিয়ে পাত্তাই দিতে চাইছেন না রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী তথা প্রবীণ তৃণমূল নেতা সুব্রত মখোপাধ্য়ায়। ‘কে ফেসবুকে কী বলল’ তা নিয়ে ভাবতেই রাজি নয় সুব্রত।

Advertisment

মহুয়া মৈত্র তাঁর ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, "এখনও বহু পঞ্চায়েত পুরনো টাকা খরচ করতে পারেনি। প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে অন্তত ৬০ শতাংশ টাকা খরচ করার নিয়ম। বহু পঞ্চায়েতে বেশীর ভাগ রাস্তাই এখনও কাঁচা।" পঞ্চায়েতে ৫ লক্ষ টাকার উপরের কাজে যে ই টেন্ডার ডাকার নিয়ম তা এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মহুয়া। পঞ্চায়েতে বহু কাজ হয়নি বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন, "রিভিউর জন্য সাড়ে তিন লক্ষ টাকার ওপর আপনারা কাজ করবেন না। ই-টেন্ডারের কোনও ব্যবস্থা করেননি। কাজ কী করে হবে? কোটি কোটি টাকা পড়ে আছে পঞ্চায়েতে। সাহেবনগর পঞ্চায়েতে সাড়ে তিন কোটি টাকা পড়ে আছে অথচ বড় রাস্তার কোনও কাজ হয়নি। এমন বহু পঞ্চায়েতে কোটি টাকার ওপর পড়ে আছে।"

মহুয়া মৈত্রের এই ভিডিও বার্তা নিয়ে তোলপাড় নদিয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের রাজ্য নেতৃত্বও রীতিমতো অস্বস্তিতে। জানা গিয়েছ, এভাবে প্রকাশ্য ভিডিও বার্তায় একজন দলীয় সাংসদ এমন মন্তব্য করায় শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন দলেরই একাংশ। কিন্তু মহুয়ার এই ভিডিও নিয়ে কোনও হেলদোল নেই রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রীর। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "আমাকে তো কিছু বলেনি। পার্টি বুঝবে। নির্দিষ্ট করে আমাকে কিছু বলেনি। তাহলে তদন্ত করতে যাব কেন।" ফেসবুকে ভিডিও বার্তা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "ওঁর ব্যাপার ওঁর ফেসবুকে দিয়েছে। আমার যেমন ফেসবুক নেই। ফেসবুক পড়িও না।"

tmc Subrata Mukherjee