লকডাউনে ত্রাণ নিয়ে গার্ডেনরিচে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, সেই সংঘর্ষে চলেছিল গুলি-বোমা। উত্তপ্ত হয়েছিল পুরো এলাকা। ১৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আখতারী শাহজাদা এলাকার দুস্থ লোকেদেরকে ত্রাণ বিলি করছিল। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামস ইকবাল-এর বোন সাবা ইকবাল ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের লোকেদের জন্য ত্রাণ বিলি করছিল। তখনই এই সংঘর্ষ ঘটেছিল। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার জেরে তলব করা হয়েছে শামস ও সাবা ইকবালকে। যদিও নোটিশের কথা অস্বীকার করেছে শামস ইকবাল।
আরও পড়ুন, দুর্নীতির অভিযোগ, ২০০ জনকে শোকজ তৃণমূলের
২৯ জুন রাতের সংঘর্ষে শাসক দলের বেশ কয়েকজন জখম হয়েছিলেন। অভিযোগ ওঠে ত্রাণ দেওয়াকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় রাত ১২টা থেকে শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে বোতল ছড়াছড়ি, অভিযোগ বোমাবাজিও হয়। এমনকী বেশ কয়েকজনকে হাতে বন্দুক নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেও দেখা গিয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল।
আরও পড়ুন, প্রশান্ত কিশোরের “দিদিকে বলো” কে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে “বাপ কে বলো”
ইডি সূত্রের খবর, ওই দিনের ঘটনায় শামস ও সাবাকে ইডি নোটিশ পাঠিয়ে বলেছে আগামী সপ্তাহে দফতরে হাজির হতে। করোনা পরিস্থিতিতে হাজির হতে না পারলে যে সব নথি চাওয়া হয়েছে তা পাঠিয়ে দিতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ত্রাণের অর্থ ও অস্ত্র সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। কোথা থেকে ত্রাণের অর্থ এসেছে, অস্ত্রই বা সেখানে কোথা থেকে এসেছিল এসব বিষয় জানতে চায় ইডি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন