বঙ্গ ভোটের পর থেকে ‘নিখোঁজ’ আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এবার তাঁর সন্ধানে জামুরিয়া বিধানসভা এলাকায় পোস্টার পড়ল। হিন্দি ও বাংলায় লেখা সেই পোস্টারে বাবুল সুপ্রিয়র ছবি দিয়ে লেখা, ‘গুমশুদা কি তলাশ।‘ অর্থাৎ যার বাংলা করলে দাঁড়ায়, নিরুদ্দেশের খোঁজে।জামুরিয়া বাজার এবং বাসস্ট্যান্ড চত্বরে একাধিক এই পোস্টার দেখা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, জামুরিয়া নাগরিকবৃন্দের তরফে এই পোস্টার মারা হয়েছে। যদিও বিজেপি এই কাজের জন্য তৃণমূলকেই কাঠগড়ায় তুলেছে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার অভিযোগ, ‘এর আগেও সাংসদের বিরুদ্ধে এই ধরণের পোস্টার পড়েছিল। লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রার্থীর সন্ধানে এমন পোস্টার পড়েছিল। সেই জবাব ভোটে মানুষ দিয়ে দিয়েছে।‘
যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল। এদিকে, দলের দুই সাংসদের সাম্প্রতিক বাংলা ভাগের দাবিতে বেজায় বিপাকে বিজেপি। পৃথক রাজ্যের দাবি তুলে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলেছেন দুই বিজেপি সাংসদ। অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। বাংলা ভাগ নিয়ে দলের অন্দরেই মতান্তর তুঙ্গে।
এই পরিস্থিতিতে বিতর্ক ধামাচাপা দিতে উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলে দীর্ঘ বঞ্চনার তত্ত্বকেই হাতিয়ার করছে পদ্ম বাহিনী। কিন্তু তাতেও বিতর্ক থামছে না। উল্টে বাঙালি আবেগ উস্কে বিজেপির বিরুদ্ধে বঙ্গভঙ্গের অভিযোগ এনে সুর চড়িয়েছে তৃণমূল। সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি। তাই আর দেরি না করে আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা ও বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সতর্ক করেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবারই সৌমিত্র খাঁকে জরুরিভিত্তিতে দিল্লিতে ডেকে পাঠান সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে।
অপরদিকে, বিজেপির দুই সাংসদদের এই অবস্থানকে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করেছেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ রূপা ভট্টাচার্য। তিনি এদিন সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর মন্তব্য, ‘অখণ্ডে ভারতবর্ষের ত্বত্ত্বে বিশ্বাসীরা কোন মুখে বঙ্গভঙ্গের কথা বলছেন?’ প্রশ্ন ছুঁড়ে রূপা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, নাহ! তিনি ‘বিভাজননীতির ঘোর বিরোধী’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন